• শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন

সিরাজগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান শিক্ষা পদক পেলেন কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান

/ ৫০ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে


মোঃশফিকুল ইসলাম, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখায় জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা পদক -২০২৩ পেলেন কাজিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী।১৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ এ সিরাজগঞ্জ জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক/শিক্ষিকা, বিদ্যালয়, ব্যক্তি, কমিটি, প্রতিষ্ঠান ও কর্মচারীগণের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।প্রাথমিক শিক্ষা পদক কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এবং সদস্য সচিব ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন, মান সম্মত শিক্ষা পরিবেশ, শিশু পরিবেশ বান্ধব শিক্ষা নিশ্চিত করতে, শিশুদের ঝরে পড়া রোধ করণ , সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলো যথাযথ বাস্তবায়নসহ শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সিরাজগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা পদকের জন্য মনোনীত হন কাজিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী। শ্রেষ্ঠ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মূল্যায়ন ছকের প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে বিশেষ অবদানের নির্ধারিত ১৬ টি সূচকে মূল্যায়নের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠত্ব নির্বাচন করা হয়।


কাজিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক উপজেলার চল্লিশ টির অধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাধিত উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে: এডিপি (এনুয়াল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্ৰাম)উপজেলা পরিষদের বরাদ্দ থেকে
৫ এর অধিক বিদ্যালয়ে গাইড ওয়াল, বাউন্ডারি নির্মাণ। কাবিটা প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ১০ টির অধিক বিদ্যালয়ে মাটি ভরাট ও টয়লেট, রাস্তা, ওয়াসব্লক স্থাপন, বিদ্যালয় মেরামত উল্লেখযোগ্য। উপজেলা পরিচালনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের (জাইকা) আওতায় ৩ টি বিদ্যালয়ে বেঞ্চ সরবরাহ। জেলা প্রশাসকের ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বরাদ্দ। এছাড়াও ইউপি উন্নয়ন সহায়তা প্রকল্পের আওতায় গাইড ওয়াল নির্মাণ এবং ব্যক্তিগত সহায়তা উল্লেখযোগ্য। সুচকগুলোর মধ্যে রয়েছে

১। ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং নিবিড় তত্ত্বাবধান এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের জন্য অবদান।
২। সংশ্লিষ্ট উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের উপস্থিতি।

৩। শিশুদের ঝরে পড়া রোধ।
৪। ব্যক্তিগত দান, উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিল বা জনগণের সহযোগিতায় বিদ্যালয় ভবন, টয়লেট মেরামত এবং রং করার ব্যবস্থা গ্রহণ।
৫। ব্যক্তিগত দান, উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিল বা জনগণের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ে শিশুদের জন্য বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল, খেলনা এবং আইসিটি উপকরণ সরবরাহ।
৬। শিক্ষা এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্যবহুল প্রবন্ধ/নিবন্ধন/বইং প্রকাশ।
৭। বিদ্যালয় কে আকর্ষণীয় করার জন্য সক্রিয় সহযোগিতা প্রদান।
৮। প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে রেডিও টেলিভিশনে বক্তব্য কথিকা আলোচনা অংশগ্রহণ।

৯। বিদ্যালয় পরিদর্শন করে উন্নয়নের ক্ষেত্র চিহ্নিত করে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদান।
১০। শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের উন্নয়নে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান।
১১। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজন এবং পৃষ্টষকতা প্রদান।

১২। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ আরম্ভরপূর্ণ ভাবে উদযাপনে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা প্রদান এবং উপজেলা পর্যায়ে পদক বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ।
১৩। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির নিয়মিত সভা আয়োজন,
১৪। অন্যান্য অবদান, ১৫। উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন এবং ১৬। সাক্ষাৎকার।

জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হওয়ায় বিষয়টি নিশ্চিত করে কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী বলেন, এ অর্জন আমার একার নয়।এ অর্জন কাজিপুরের সকলের। যে কোনো পুরস্কার ও স্বীকৃতি কর্মস্পৃহা ও উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে। এ স্বীকৃতি পেয়ে আমি খুব আনন্দিত। পুরস্কার পাওয়ার চেয়ে তার মর্যাদা ধরে রাখাটাই কঠিন। তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। আমি আমার সর্বোচ্চ মেধা সৃজনশীলতা দিয়ে দেশ ও মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাবো। আমি সব সময়ই চেয়েছি দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে।তবে এমন অর্জন আমাকে আরও অনুপ্রেরণা দিবে। শিক্ষার মান উন্নয়নে আরও নিষ্ঠা, একাগ্রতা, আন্তরিকতা, প্রজ্ঞা,বিচক্ষণতা, দুরদর্শিতা,পারদর্শিতা, বলিষ্ঠ ও গতিশীল নেতৃত্বে কাজিপুর উপজেলার জন্য কাজ করে যেতে চাই।।আমি যেন সরকারের এসব স্বীকৃতির যথাযথ মর্যাদা রক্ষা করে দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করতে পারি, সবার কাছে এ দোয়া চাই।

তিনি বলেন, উপজেলার নির্যাতিত সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা দিতে চাই, দিয়ে যাচ্ছি এবং যাবো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক গনতান্ত্রিক ক্ষুধা দারিদ্র্য মুক্ত ও শোষনহীন সমাজ সুখী সম্মৃদ্ধ উন্নত আধুনিক সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে দ্বিধাহীন চিত্তে নিজেকে আত্ব- নিয়োগ করতে সদা প্রস্তুত। উন্নয়নের ধারাকে অব্যহত রাখতে আমি উপজেলা কে ক্ষুধামুক্ত, অপরাধ মুক্ত, মাদক মুক্ত, বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা,উপজেলাবাসির মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করা,স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা মান উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা সর্বোপরি মানুষের জীবন মান উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প করে অত্র উপজেলা কে মডেল উপজেলা হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমাদের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়কে উপহার দিতে চাই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর