রান্নায় ব্যবহার হচ্ছে লাল রং, ময়দা, চালের গুঁড়া,ধানের গুঁড়া, সোডা, পচাঁ মরিচ, পচা হলুদ মেশানো হলুদ-মরিচ-,সজের মসলার গুঁড়া। আর এসব মশলার একটি বড় অংশ ব্যবহার হচ্ছে সামাজিক বোজের অনুষ্ঠান মেজবানে। এছাড়া বিয়ে, জন্মদিনসহ যে কোনো অনুষ্ঠানেও মসলা সরবরাহ করা হয়। এর বাইরে খুচরা ও পাইকারীভাবেও হলুদ-মরিচ গুঁড়াসহ মসলা বিক্রি হয়।
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে চটকদার মোড়কে বা খোলা বাজারে মানুষকে আকৃষ্ট করে অসাধু ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষকে এসব ভেজাল মসলা খাওয়াচ্ছেন।
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার পুরানবেড়া এলাকায় আব্দুল খালেকের কারখানয় মঙ্গলবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে কারখানায় রং মেশানো এবং নোংরা পরিবেশে ময়লা পানিতে সয়লাব হয়ে যাওয়া হলুদ-মরিচের গুঁড়া মসলার প্রমাণ পেয়েছে। ২০ বস্তা মরিচ,হলুদ ও সজের গুঁড়া জব্দ করে ধংস করে, ৫০ হাজার টাকা জরিমান ও কারখানা কারখানা সীলগালা করা হয়েছে।
রং মেশানো, পচাঁ মরিচ, হলুদ ও সজ দিয়ে মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া ও সজের গুঁড়া তৈরীর অভিযোগে আদালত একটি প্রতিষ্ঠানকে সীলগালা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদানের আদেশ দিয়েছেন।
ভ্রাম্যমান আলাদত পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সিরাজগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান রনি। এসময় পুলিশ, সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, মেজবানের মাংসে যেহেতু বেশি মসলা লাগে তাই আয়োজকরা এসব ছোট কারখানা থেকে খোলা মসলা সংগ্রহ করেন। কিন্তু রং মেশানো এসব ভেজাল মসলা মানুষের স্বাস্থ্যের চরম ক্ষতি করছে। তার পর আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে এই সব অসাধু ব্যবসায়ীর ভেজাল দ্রব্য তৈরী করে বাজারে বিক্রি করতো। আমরা খবর পেয়ে কারখানায় গিয়ে দেখি পচাঁ হলুদ, মরিচ ও সজ দিয়ে সাথে বিষাক্ত লাল রং, সেমাই, ময়দা, চালের গুঁড়া,ধানের গুঁড়া, সোডা, এসব মসলার গুঁড়া তৈরী হচ্ছে। পরে জব্দকৃত আলামত ধংসকরি, ৫০ হাজার টাকা জরিমান ও কারখানা কারখানা সীলগালা করা হয়েছে।