নাটোরের শিশু সিজান বাঁচাতে চায়। মাত্র তিন বছর বয়সী আদরের সন্তান সিজানকে বাঁচাতে তার পিতা মাতা ঘুরছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। জেলার সিংড়া উপজেলার বড় হাতিয়ান্দহ গ্রামের কৃষি শ্রমিক মোঃ শামসুদ্দিন আহমেদের এর ছোট ছেলে সিজান। জন্মের পর থেকেই সে অসুস্থ্য। বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালের নবজাতক, শিশু ও স্ট্রাকচারাল ইন্টারভেনশন কার্ডিওলজিস্ট এবং ইনটেনসিভিস্ট অধ্যাপক নুরুন নাহার ফাতেমা নিশ্চিত করেছেন জন্মা থেকেই সিজানের হার্টে তিনটা ছিদ্র রয়েছে। কৃষি শ্রমিক মোঃ শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, তার নিজের কোন জমি জমা নেই। সারাজীবনই পরের জমিতে কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।
পরিবারের চার সদস্যের খরচ চালানো ছাড়াও স্বামী পরিত্যাক্তা বড় বোনকেও বাড়িতে রেখে তিনিই তার সব খরচ চালান। সন্তানের চিকিৎসার প্রয়োজনে কোথাও গেলে কাজ করতে না পারায় সংসারের চাকা তখন আর ঘুরে না। তার শশুড়েরও কোন সম্পদ নেই। নদীর ধারের খাস জমিতে তার শশুড়ের বসবাস। সম্পদ বলতে যা কিছু ছিল ছেলের চিকিৎসা করতে গিয়ে ইতোমধ্যে তা শেষ করে ফেলেছেন।
এখন চিকিৎসকরা বলেছেন, সিজানকে বাঁচাতে হলে পুরো চিকিৎসা শেষ করতে প্রয়োজন হবে আরো চার লাখ টাকার। যা কোন ভাবেই যোগার করা তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। সমাজের সচেতন হৃদয়বানরা এগিয়ে না আসলে কোন ভাবে তার সন্তানের চিকিৎসা করনো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সিজানের মা। আরো বিস্তারিত জানতে বা বিকাশ পাঠাতে যোগাযোগ করা যাবে সিজানের পিতার ০১৭২১-৭৬৭৯৬০ নম্বরে। জনতা ব্যাংক হাতিয়ান্দহ শাখা, সিংড়া নাটোরে সিজানের বড় ভাই মোঃ আহসান হাবিবের ০১০০২২৬৪৭৮৪৮০ নম্বর স্কুল ব্যাংকিং হিসাবে টাকা পাঠিয়ে সিজানের জীবন রক্ষায় তার পাশে দাঁড়াতে পারেন।