ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিপুল ভোটে যশবন্ত সিনহাকে হারিয়ে দেশটির প্রথম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নারী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তৃতীয় দফার ভোট গণনার পরই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোটের মাইলফলক অতিক্রম করেন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্য দ্রৌপদী মুর্মু।
বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের হাতে যে সংখ্যা ছিল, তাতে নির্বাচনের আগেই কার্যত ‘ওয়াকওভার’ পেয়ে গিয়েছিলেন দ্রৌপদী। সেইসঙ্গে ‘ক্রস ভোটিংয়ের’ অ্যাডভ্যান্টেজও ছিল। নির্বাচনে দ্রৌপদী পেয়েছেন ৮১২টি ভোট, যশবন্ত ৫২১টি ভোট।
প্রথম রাউন্ডের শেষে দেখা যায় দ্রৌপদীর প্রাপ্ত ভোট ৫৪০, অন্যদিকে বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা পেয়েছেন ২০৮টি ভোট। দ্বিতীয় রাউন্ডের গণনাতেও একই ভাবে আধিপত্য বজায় রাখেন দ্রৌপদীই।
সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ হয়। প্রায় ৯৯ শতাংশ ভোট পড়ে সেদিনই। দেশের ৭৭১ জন সাংসদ এবং ৪ হাজার ২৫ জন বিধায়ক ভোটপ্রক্রিয়ায় অংশ নেন। বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে শুরু হয় ভোটগণনা।
জয় নিশ্চিত হওয়ার পর নয়াদিল্লির ‘তিন মূর্তি মার্গে’ দ্রৌপদী মুর্মুর অস্থায়ী বাসভবনে গিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ ছাড়া মুর্মুর জয়ের ঘোষণা আসার পর নয়াদিল্লিতে বিজেপির প্রধান কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রা বের করে বিজেপির দিল্লি শাখা।
৬৪ বছর বয়সী মুর্মুর বাড়ি উড়িষ্যায়। তিনি এর আগে ঝাড়খন্ডের প্রথম নারী গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৫৮ সালে সাঁওতাল পরিবারে জন্ম নেয়া মুর্মু প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করে তার শিক্ষাজীবন শেষ করেন এবং শ্রী অরবিন্দ শিক্ষা কেন্দ্রে একজন শিক্ষক হিসেবে তার পেশাগত জীবন শুরু করেন।