বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের মেয়ে খান ফারহানা। কাজের জন্য থাকছেন সুদূর তিমুরে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে গ্রাজুয়েশন শেষ করেই নেমে পড়েন কাজের মাঠে। বেশ কিছু প্রাইভেট অর্গানাইজেশনের প্রজেক্ট এন্ড পার্টনারশিপ টিমে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন খান ফারহানা। সুযোগ পান সরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে কাজ করারও। ফারহানার চাকরি জীবনের শুরু ছিলো বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি ডেভেলপমেন্ট-এ।
তরুণী ফারহানার এই বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের নানা রকম অভিজ্ঞতা জানতে আমাদের কথা হয় তার সাথে। নেপোলিয়ানের উক্তি “তোমরা আমাকে শিক্ষিত মা দাও,আমি তোমাদের শিক্ষিত জাতি দেবো।’’ সিধেÑসত্য বটে! ফারহানা’র লিঙ্কডইনে লাখের বেশি মানুষের সংযোগে শেয়ার করা নানান কন্টেন্টের অধিকাংশই তরুনদের উৎপাদনশীল হয়ে ওঠা প্রসঙ্গে। যেখানে এই তরুণীর উদ্যোমী চিন্তা ভাবনা স্পষ্ট।
কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশোনা করা ফারহানার বেশিরভাগ কন্টেন্টই প্রযুক্তিভিত্তিক। এছাড়া নতুনদের জন্য ক্যারিয়ার গাইডলাইন, সিভি ফরমেট, ইন্টারভিউ টিপস দিয়েও সাহায্য করছেন তিনি। ফারহানার নতুন কন্টেন্ট ‘দ্যা লিঙ্কডইন পারসন আওয়ার’ নামে বেশ পরিচিতি। এই ধারাবাহিকে বিশেষজ্ঞরা নানারকম কর্মক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করে থাকেন। বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞরা চাকরি বা ইন্টার্ণশিপ এর সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন, এমনকি সিভিও আদান-প্রদান করা হয় সরাসরি সম্প্রচারে।
হঠাৎ একদিন লিঙ্কডইনেই ইউএনডিপির শূন্যপদ সম্পর্কে একটি পোস্ট দেখতে পান ফারহানা। দেরি না করে নিজের সিভি ও কাজের পোর্টফোলিও বানিয়ে আবেদন করেন তিনি। এরপর থেকে ক্যারিয়ারে তার অগ্রগতির জোঁয়ার। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন ইউএনিডিপির আইসিটি ইনোভেশন অফিসার হিসেবে ।
খান ফারহানার মতে, বেসরকারি খাতে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ আছে, আর এক্ষেত্রে কাজের শুরুটা সুন্দর ফলাফলের প্রত্যাশায় করার পক্ষপাতি তিনি।
কমিউনিটি থেকে অবিচ্ছিন্ন থাকার জন্যে গড়ে তুলেছেন একটি, ‘ফারহানা’স ব্রেইন্সটেশন’। তরুণ প্রজন্মের কাছে আপডেট কর্মসংস্থানের তথ্য তুলে ধরছেন তিনি। ফারহানার এমন সব অসাধারণ কাজই তাঁকে যোগ্য করে তুলেছিলো ‘নেক্সট জেনারেশন লিডার’ অ্যাওয়ার্ড হাতে তুলে নেয়ার জন্য।
প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে অল্পকথায় এই তরুণী জানান- বাংলাদেশে যেমন বিদেশীদেও যত্ন করে আতিথেয়তায় রাখা হয়, বিদেশে তারা তেমনই আছেন। এ প্রজন্মের নারী উদ্যোক্তাদের কাছে আদর্শ হয়ে ওঠা ফারহানা স্বপ্ন দেখেন সুরক্ষিত সুন্দর কর্মপরিবেশ হলে কর্মজীবী নারীদের জয়জয়কারের।