সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে চার বছরের এক শিশুকে মুখ,গলা ও পা বেধে হত্যা ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে জুনায়েদ হোসেন (১৪) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই শিশুর মা বাদী হয়ে ঘটনার দিন রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি অস্বীকার করেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
অভিযুক্ত জুনায়েদ হোসেন উপজেলার ঝাঐল ইউনিয়নের খামার বড়ধুল গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে ও বড়ধুল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। শনিবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলার ঝাঐল ইউনিয়নের খামার বড়ধুল গ্রামের পাট খেতে শিশু নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকেলে শিশুটি বাড়ির পাশে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। খাবার কিনে দেওয়ার কথা বলে ওই শিশুকে বাড়ীর পাশের একটি পাট খেতে আগে থেকে প্রস্তুত করা জায়গায় নিয়ে যায় জুনায়েত। সেখানে প্রথমে শিশুটির পা বাধার পর শিশুটি কান্না করতে থাকলে তার মুুখের ভিতর গামছা ঢুকিয়ে দিয়ে গলা বেধে ফেলে বখাটে জুনায়েত। পরে শিশুটির আংশিক শব্দ টের পেয়ে তার মা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উপস্থিতি টের পেয়ে জুনায়েত পালিয়ে যায়। পরে তার মা শিশুটিকে উদ্ধার করে বাড়ীতে নিয়ে যান।
শিশুটির বাবা বলেন, আমার বাড়ীতে আমার মেয়ের সমবয়সি কেউ না থাকায় জুনায়েতদের বাড়ীর শিশুদের সঙ্গে খেলতে আসে মেয়ে। ঘটনার দিন বিকেলে খেলতে আসলে খাবার কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে পাট খেতে নিয়ে পা, মুখ ও গলা বেধে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করে জুনায়েত। পরে মেয়ের মা গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ঘটনার দিন রাতেই থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কামারখন্দ থানা পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় এসআই শুভ আমাদের থানায় যেতে বলেছেন। আমার শিশু মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এমন নেক্কারজনক ঘটনার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে কামারখন্দ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আহসান কবীর শুভ বলেন,খামার বড়ধুল গ্রামে শিশু নির্যাতনের ঘটনায় ঘটনার দিন শনিবার রাতে ওই শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রটি ওসি স্যার আমাকে দিলে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগপত্রটি আবার ওসি স্যারকে ফেরত দিই।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, শিশু নির্যাতনের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাইনি।লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে কামারখন্দ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবীর বলেন, শিশু নির্যাতনের বিষয়টি রবিবার বিকেলে আমাকে কামারখন্দ থানার ওসি জানিয়েছেন। তাকে এঘটনায় মামলা রুজু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওসি কেন মামলা নিচ্ছেন না এ ব্যাপারে তার সঙ্গে কথা বলছি।