সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন

ফুল ফল সবজি উৎপাদনে ৩৪০ কোটি টাকার প্রকল্প

রিপোর্টারের নাম / ১৩৮ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ৪:২৮ অপরাহ্ন

ফুল, ফল ও সবজি উৎপাদনে ৩৪০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার, যার মাধ্যমে ২৩ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য, ১২ হাজার মেট্রিক টন ফল ও ৫ কোটি ৮৩ লাখ ফুল উৎপাদনের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ছয়টি বিভাগের ১৯টি জেলার ৪৫টি উপজেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

সূত্র জানায়, পানি সাশ্রয়ী সেচ প্রযুক্তি ও পলিশেডের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি, ফল ও ফুল উৎপাদন শীর্ষক এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বিএডিসি। সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশে এটি একটি নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব প্রকল্প। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এড়াতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, স্মার্ট ক্লাইমেট টেকনোলজি সৌরশক্তিচালিত সেচপাম্প ব্যবহার করে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, বর্তমানে দেশে ২০০ জাতের সবজি উৎপাদন হচ্ছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে শাকসবজি। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শাকসবজি এনে ঢাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে পরিবহন ও সংরক্ষণের অভাবে এসব জেলা থেকে আনা ফল, ফুল ও সবজির বড় অংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে এসব বিদেশে রপ্তানি করা কঠিন হয়ে পড়ছে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশে বছরে প্রায় ১২.১ মিলিয়ন মেট্রিক টন ফল এবং ১৬.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন সবজি উৎপাদন হয়। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এসব উৎপাদিত ফল ও সবজি মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা সম্ভব। কিন্তু উৎপাদিত সবজি ও ফলের সঠিক গুণগতমানের অভাব, নিরাপদ উৎপাদনের অভাব, গুড অ্যাগ্রিকালচার প্র্যাকটিসের (জিএপি) অভাব, অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার, চুক্তিভিত্তিক কৃষক না থাকা (কন্ট্রাক্ট ফার্মিং), অ্যাক্রেডিটেশন ল্যাবরেটরি না থাকা, তদারকি ও মানসনদের দু®প্রাপ্যতা, রপ্তানির জন্য বিশেষ অঞ্চল না থাকাসহ ২০ ধরনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে এ ক্ষেত্রে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ প্রতিবন্ধকতা দূর করা ও আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারলে ফুল, ফল ও সবজি উৎপাদন করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব। বিএডিসি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদেশে রপ্তানির জন্য মানসম্মত ও বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি ও ফুল-ফল উৎপাদন করতে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। এ প্রকল্পটি সে লক্ষ্যেই নেওয়া হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের অত্যাধুনিক সেচ ব্যবস্থাপনা, চাষাবাদে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং ফুল-ফল ও সবজি সংরক্ষণে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া ফল ও ফুল শিল্পের যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন ফল-ফুলের মানসম্মত বীজ ও চারার অভাব দূর করতেও চাষিদের দক্ষতা বাড়ানো হবে। সূত্র জানায়, প্রকল্পটি নিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি গত ২৩ জানুয়ারি একটি সভা করে। ওই সভায় বিএডিসির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ সাজ্জাদ জানান, আধুনিক সেচ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই প্রকল্প থেকে বছরে অতিরিক্ত প্রায় ২৩ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন করা সম্ভব। এর বাইরে আরও ১২ হাজার মেট্রিক টন ফল পাওয়া যাবে। যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir