বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে একক গ্রাহক হিসেবে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে বেঁধে দেওয়া ঋণসীমা তুলে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে গত নভেম্বর মাসে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে পাঁচ বছরের জন্য এ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে একটি সার্কুলার পাঠিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ১২১ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখিবার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোনো একক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে কোনো ব্যাংক কর্তৃক ঋণ প্রদানে বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে অনুমোদন প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ২৬খ(১) ধারার শর্তাংশে বর্ণিত নিষেধাজ্ঞা আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর হবে না। বিদ্যুৎ খাতে জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য কাঁচামাল আমদানি খাতে এ অর্থ ব্যয় করা যাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও উল্লেখ করা হয়, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ২৬খ(১) ধারার শর্তাংশে উল্লিখিত ২৫% ঊর্ধ্বসীমার স্থলে ঊর্ধ্বসীমা কত হবে তাহা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করিবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, একক গ্রাহক হিসেবে কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে কোনো ব্যাংক মূলধনের ২৫ শতাংশের (ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড মিলিয়ে) বেশি ঋণ দিতে পারবে না। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে এ হার নির্ধারণ করা হয়, যা এর আগে ৩৫ শতাংশ ছিল। অন্য দিকে ফান্ডেড ঋণের বেলায় তা মূলধনের সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ হবে। শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ২৫ শতাংশের পুরোটাই ফান্ডেড ঋণ দেওয়া যাবে।