গাজীপুরের শ্রীপুরে বন বিভাগের পতিত জমি দখলে নেয়ার পরদিন প্রায় ৩০ কোটি টাকা মূল্যের ওই জমি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। এসময় উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেয়ায় ঘটনাস্থল থেকে দুলাল ফকিরকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে স্থানীয় আলাউদ্দিন ফকিরের ছেলে। গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর (নয়নপুর) এলাকায় বন বিভাগের কর্মকর্তারা ওই জমি উদ্ধার করে। শ্রীপুর থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করে। শ্রীপুর ফরেস্ট রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শ্রীপুর রেঞ্জের সিমলাপাড়া বন বিট কর্মকর্তা শামসুজ্জামান জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমি পতিত থাকায় ওই জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে কয়েকটি পরিবার। নয়নপুর গ্রামের ইমান আলীর ছেলে আবদুল খালেক কাজী গং ওই জমি নিজের দাবি করে ভোগদখল করে আসছিলেন।
গত সোমবার জোর করে তাদের উঠিয়ে দিয়ে নিজেদের মালিকানা দাবি করে ওই জমি আবার দখলে নেয় একই গ্রামের আবু বাক্কার ফকির ও রিপন ফকির গং। জবরদখলের পরদিন মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) দুপুরে বনের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দখলীয় জমি উদ্ধার করে শ্রীপুর রেঞ্জের অধীন সিমলাপাড়া বিট কর্তৃপক্ষ।
উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ৪নং ধনুয়া মৌজায় উদ্ধারকৃত জমির পরিমান তিন একর। যার স্থানীয় মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা। দখলীয় জমির চারপাশে টিন ও বাঁশের বেড়া দিয়ে দখল করেছিল তারা। ভোগদখলে থাকা আবদুল খালেক কাজী দাবি করেন, বন বিভাগের দাবি করা ওই জমি তিনি পৈতৃক সূত্রে মালিক হয়ে ভোগদখলে ছিলেন। তিনি আইনগতভাবে বন বিভাগের কাছ থেকে জমি বুঝে নেয়ার চেষ্টা করবেন।
জমির দাবিদার অপর দখলদারীদের একজন রিপন ফকির জানান, পৈতৃক সূত্রে আমরা তিনটি রেকর্ড মূলে (এসএ, সিএস, আরএস) ওই জমির মালিক। এটা খাস বা বনের জায়গা না। এই জমির আগের মালিক ১৯৮৬ সালে আমাদের কাছে বিক্রি করে রেজিস্ট্রি করে দেয়। বন বিভাগ আমাদের সময় দিলে আমরা জমির কাগজপত্র তাদের কাছে উপস্থাপন করতে পারতাম। তারা সময় না দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালায়।
শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, দখলকারীদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ মামলা করেছে। বন বিভাগের জমি জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করার সময় বাধা দেয়ায় দখলকারীদের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে পুলিশ।