বৈঠকে দ্বিতীয় দিন অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞায় থাকা ৬৯টি রুশ জাহাজ বাংলাদেশে ভিড়তে না দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয় রাশিয়ার পক্ষ থেকে। বলা হয় এসব জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে ব্যবস্থা নিতে হবে। গত বছর ২০ ডিসেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মালামালবোঝাই রাশিয়ার একটি জাহাজ সমুদ্রবন্দরের কাছাকাছি এলেও ভিড়তে দেয়নি বাংলাদেশ। এ ঘটনার বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করা হয়। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি সম্ভব নয়। কারণ এই নিষেধাজ্ঞা আমেরিকার। এটি তুলতে হলে আমেরিকাকেই তুলতে হবে।
সূত্র জানায়, ভোলায় গ্যাস অনুসন্ধানে রাশিয়া আরো সমীক্ষা চালাতে চায়। একই সঙ্গে পেট্রোবাংলা ও গ্যাজপ্রমকে কারিগরি সহায়তা দিতে চায় দেশটি। সেই সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব স্থল ও সমুদ্রে সাড়ে চার হাজার থেকে ছয় হাজার মিটার গভীরতায় কূপ খনন করে গ্যাস ও তেলের অনুসন্ধান করতে চায়। পাশাপাশি গ্যাসের বিষয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান করতে আগ্রহী দেশটি। সেই সঙ্গে ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের ইউনিট-১ ও ২-এর আধুনিকায়ন ও সংস্কারের জন্যও আগ্রহ দেখিয়েছে তারা।
সূত্র জানায়, বৈঠকের প্রথম দিন ১৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কমিশন বৈঠকের আলোচনায় অংশ নেয়। দ্বিতীয় দিন অংশ নেন প্রায় ৩০টি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা। আজ অংশ নেবে বাকি ১৭টি মন্ত্রণালয়।
দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ইআরডির অতিরিক্ত সচিব ও ইউরোপ উইংয়ের প্রধান উত্তম কুমার কর্মকার। রাশিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন রাশিয়া ফেডারেশনের ফেডারেল এজেন্সি ফর ফিসারিজের প্রধান ইলিয়া ডি শেসতাকভ।
বৈঠকে বাংলাদেশের প্রস্তাব : আন্ত কমিশন বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ প্যাকেজে রাশিয়ার কাছ থেকে ৩৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এ প্রকল্পে কী ধরনের যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম কেনা হবে সেটিও জানানো হয়েছে। এতে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে রাশিয়া। শিগগিরই চুক্তি হতে পারে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের পক্ষে মোবাইল রোমিংয়ের খরচ কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রাশিয়াকে। আইসিটি বিভাগ থেকে তথ্য-প্রযুক্তিতে ব্যাপক প্রশিক্ষণ এবং সাইবার নিরাপত্তায় সহায়তা চাওয়া হয়েছে।