মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার জমি ও ঘর পেয়ে আত্মনির্ভরশীল হচ্ছেন মানিকগঞ্জের নারীরা। সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গৃহহীনদের মাঝে ১১৯টি ঘরসহ দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি আশ্রয়হীনদের এ বছরই ঘরসহ জায়গার ব্যবস্থা করা হবে। ঠিকানাহীন থাকবে না একটি পরিবারও। এ বছরই গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা। উপজেলায় ২৬৫ জন গৃহহীন ছিলেন। এদের মধ্যে ১১৯টি ঘরসহ জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি রয়েছে কিছু পরিবার। তাদের জন্য অনেক জায়গায় মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে।
এ বছরের মধ্যে সব গৃহহীনের মধ্যে ঘরসহ জমি হস্তান্তর করা হবে। ইতোমধ্যে যারা আশ্রয় পেয়েছেন তারা স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন। সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, যারা ঘর পেয়েছেন তারা আত্মতৃপ্তি নিয়ে সংসারের কাজ করছেন। সীমিত জায়গার মধ্যে কেউ কেউ পেঁপে, লাউ, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজির চাষও করছেন। রাশেদা বেগম নামে ঘর বরাদ্দ পাওয়া একজন বলেন, স্বামী-সন্তান নিয়ে ভালোই আছেন। মেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। স্বামী হ্যালোবাইক চালান। নিজের জায়গায় থাকার শান্তিই আলাদা। রেণু মালা বলেন, ‘আগে ভাড়াবাড়িতে থাকতাম। এখন নিজের বাড়িতে থাকছি এটা কম কিসের! স্বামী কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন। ভাড়াবাড়িতে যখন থাকতাম ভাড়া পরিশোধ করে সংসার চালানো কঠিন হতো। এখন অনেক অনেক ভালো আছি। এখানে দুটি আশ্রয় কেন্দ্রে ৫২টি পরিবার বাস করছে। এ ছাড়া ভারারিয়ায় ৪৫ ও শিমুলীতে ১৪টি পরিবার বাস করছে।’ নিজের বাড়িতে থাকতে পেরে সবাই আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতীশ্বর পাল বলেন, ‘সদর উপজেলায় মোট গৃহহীন লোকের সংখ্যা ২৬৫ জনের মধ্যে ১১৯ জনকে ঘরসহ জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের এ বছরের মধ্যে ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যার যেটা প্রাপ্য- যেমন বয়স্কভাতা, বিধবাভাতাসহ সব ধরনের ভাতাসহ হাঁস-মুরগি দেওয়া হবে। শুধু ঘর দিয়েই আমরা থেমে থাকব না। প্রত্যেককে স্বাবলম্বী করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’