পোলট্রি খাতের শীর্ষস্থানীয় চার প্রতিষ্ঠান খামার পর্যায়ে ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর খুচরা বাজারে এর দাম কমতে শুরু করেছে।
রমজানের প্রথম দিন শুক্রবার রাজধানীর শ্যামবাজার, সূত্রাপুর বাজার, ধুপখোলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে ব্রয়লার মুরগি ২৫০-২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২৬০-২৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
অযৌক্তিক দামে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করায় বৃহস্পতিবার এ খাতে দেশের চার প্রধান প্রতিষ্ঠান কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, আফতাব বহুমুখী ফার্মস ও সিপি বাংলাদেশকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরপর কোম্পানিগুলো খামার পর্যায়ে নির্ধারিত এ দামে মুরগি বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয়।
এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম। বাজারে হাড়সহ গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি, হাড়ছাড়া ১ হাজার টাকা কেজি, খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি, বকরি ১ হাজার টাকা কেজি।
এছাড়া বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের মতোই প্রকারভেদে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি, বুটের বেসন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, খেসারি ডালের বেসন ১০০ টাকা যা গত সপ্তাহেও একই দাম ছিল। মোটা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা আর চিকন মসুর ডাল ১৪৫ টাকায় অপরিবর্তিত দরে বিক্রি হচ্ছে। চিনির মূল্য গত সপ্তাহের সমান ১২০ টাকা কেজি, মুড়ি ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, লেবু প্রকারভেদে ৪০-৬০-৮০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
শ্যামবাজারের রাতুল এন্টারপ্রাইজের শফিকুল মোড়ল বলেন, ‘এখন এমন সময় আইছে যে রমজানেও মানুষের আনাগোনা কম দেখা যাচ্ছে। অথচ রমজান মাস আইলে মানুষের ভীড় লাইগ্যা থাকত। আর এখন হাতেগোনা মানুষ বাজারে আসতাছে। যেই হারে দাম বাড়ছে, মানুষও কী কইরা কিনবো? দাম কমলেই ভালা, আমরার বেচে বিক্রি বেশি হয়।’
মাছের দর কমেছে কিছুটা
রুই মাছ গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে। বাজারে প্রকারভেদে রুই ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঙাশ ২৫০ টাকা থেকে ৫০ টাকা কমে ২০০ টাকায়, ইলিশ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাহিদা বেড়েছে তরমুজ বেলের
ইফতারিতে শরবত বানাতে তরমুজ ও বেলের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। বাজারে ৪০ টাকা কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। আর প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১৪০ টাকা হালি বেল বিক্রি হচ্ছে।
তরমুজ কিনতে আসা রিফাত হাসান বলেন, ‘তরমুজ কেজি ও পিস উভয় ভাবেই কিনতে পারছি। কেজি হিসেবে কিনলে ৪০ টাকা আর পিস হিসেবে কিনলে দেখা যাচ্ছে প্রকারভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দিয়ে কেনা যাচ্ছে।’