নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের গুরুদাসপুরে কৃষক ফরিদুল ইসলামের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেধরক মারপিট ও গুরুতর জখম করে অর্ধলক্ষাধিক টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত কৃষক ফরিদুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন স্থানীয়রা। ফরিদুল উপজেলার মশিন্দা বাহাদুরপাড়া গ্রামের মৃত শওকত আলীর ছেলে এবং মশিন্দা ইউপির ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার শহিদুল ইসলামের ছোট ভাই।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চাঁচকৈড় হাটে ২০ মণ রসুন বিক্রি করে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে ভ্যানগাড়িতে যাত্রীদের সাথে বাড়ি ফিরছিলেন ফরিদুল ইসলাম (৪৫)। তিনি মশিন্দা ইউনিয়নের জাকেরের মোড়ে পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জেরে শিকারপুর গ্রামের মো. লিখন মন্ডল (২৫) ও আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল (৫৫), সাজেদুল ইসলাম সুজন (২৫), সাখাওয়াত মন্ডল (৩৫), আসাদ মন্ডল (৩২), সামিরুল মন্ডল (২৮) সহ ৫/৭ জন সন্ত্রাসী ফরিদুল ইসলামের পথরোধ করে এবং প্রকাশ্যে লোহার হাতুর ও জিআই পাইপ দ্বারা উপর্যুপুরি আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ফরিদুল। এসময় তার রসুন বিক্রির নগদ ৬০ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। স্থানীয়রা গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন নেন। পরে তার ছোট ভাই শাহিন আলী ওই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায় বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আহত ফরিদুলের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি শিকারপুর রাশিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার নৈশ্যপ্রহরী।
আহত ফরিদুল ইসলামের বড়ভাই স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম জানান, অভিযুক্তরা ইতিপূর্বে এলাকায় এ ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঘটিয়েছেন। আমাকেও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করে না পাওয়ায় তাদের মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
গুরুদাসপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. মশিউর রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।