রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
চারঘাট ও বাঘার পুজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক উজ্জল কাজিপুর পুজা মণ্ডপ পরিদর্শন করলেন উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ জয়পুরহাটে অতিরিক্ত জেলা জজ-১ম আদালতের রেকর্ড থেকে রায় আদেশ গায়েব “ চারঘাট প্রেসক্লাব সদস্যদের সাথে উপজেলা বিএনপির মতবিনিময় সভা আইসিটি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিবের সিরাজগঞ্জে পুজামন্ডপ পরিদর্শন ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক আ হ মুহাম্মদ খোকনের জন্মদিন পালন ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, চিন্তায় জেলেরা ‘আমাকে এখন পর্যন্ত কেউ দেখতে আসেনি, কারণ পরিবারে কেউ নেই’ শেষ মুহূর্তে ইলিশ কিনতে ক্রেতাদের লাইন, কেজি ২৭০০ টাকা বিয়ে করেছেন সমন্বয়ক হাসনাত, ফেসবুকে জানালেন সারজিস

নিরপরাধ ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পথে জনতার বাধায় ছেড়ে দিতে বাধ্য হল পুলিশ

রিপোর্টারের নাম / ২৮৭৪ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন



আব্দুর রাজ্জাক বাবু, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে অপরাধ ব্যতিত রুবেল নামের যুবলীগ কর্মীকে আটক থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় জনতার তোপে পড়ে ছাড়তে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার ২৮ মার্চ) বিকেলে বেলকুচি পৌর এলাকার চালা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চালা আদালত পাড়া পোষ্ট অফিসের সম্মুখে আরমান হোসেনের ফ্লেক্সিলোডের দোকানে চরচালা গ্রামের মৃত সোনাউল্লাহ প্রামানিকের ছেলে রুবেল সহ কয়েকজন যুবক ইফতারের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। হঠাৎ এ সময় গাড়ামাসী গ্রামের কাউন্সিল জুলফিকার রহমান শিপনও তার সহযোগীরা আরমানের দোকানের ভিতরে গিয়ে রুবেলকে মারপিট করে। পরে শিপনের এক সহযোগী মুঠোফোনে কথা বলার পর থানা থেকে বেশ কয়েকজন পুলিশ এসে বিনা কারণে রুবেলকে চোরের মত ধরে নিয়ে যেতে নেয়। চালা বাজার এলাকায় আসার পর এক দেড়শ মানুষ জমায়েত হয়ে রুবেলকে নিয়ে যেতে বাঁধা দিলে পুলিশ জনতার তোপে পড়ে রুবেলকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। পরে বিক্ষিপ্ত জনতা চালা বাজার এলাকায় পুলিশের এই অনৈতিক কাজের প্রতিবাদে মিছিল করেন।

বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদূল হক বলেন, আমি পৌরসভা থেকে বের হয়ে বাসায় ফিরছিলাম । চালা বাজার এলাকায় মানুষজন জমায়েত হয়েছে দেখে এগিয়ে আসি। এসে দেখি বিনা কারণে রুবেলকে চোরের মত ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তা দেখে স্থানীয়রা রুবেলের অপরাধ জানতে চায়। পুলিশ তার কোন সঠিক জবাব না দিতে পারায় বিক্ষিপ্ত জনতা তোপে পড়ে রুবেলকে রেখে চলে যায়। আমরা আইনের প্রতি সব সময় সন্মান দিয়ে আসছি। তবে একটি নিরাপরাধ মানুষকে কারণ ছাড়া এভাবে ধরে নিয়ে যাওয়া কেমন আইন তা আমার জানা নেই।

বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেন বলেন, দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে রুবেলের সাথে বড়ধূল ইউনিয়ন আওয়ামি লীগের সভাপতির সাথে ঝামেলা হয়েছিল। মৌখিক অভিযোগ দিয়ে ছিল,সেই বিষয়টি জানার জন্য অফিসার পাঠিয়েছিলাম রুবেলকে থানায় ডেকে আনার জন্য। এই বিষয়টি যে এমনটি হবে তা জানা ছিল না। পরে এ বিষয় নিয়ে দুই পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেছে বলে তিনি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir