বাংলাদেশ ব্যাংক আগে ব্যাংকগুলোকে চলতি বছরে তাদের বিতরণ করা মোট ঋণের ২৫ শতাংশ অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, ছোট মাঝারি (এসএমই) খাতে বিতরণ করতে বলেছিল। পাশাপাশি কোন খাতে কত ঋণ দিতে হবে, সেটিও নির্ধারণ করে দিয়েছিল। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, উৎপাদন, সেবা ও ব্যবসা খাতে ঋণ দেওয়ার বিদ্যমান হার শিথিল করা যাবে। এই সুযোগ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দিয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে ছাড় দেওয়ার কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, করোনা-পরবর্তীকালে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অন্যান্য খাতের পাশাপাশি ব্যবসা খাতেও ঋণের চাহিদা অপেক্ষাকৃত বেশি বলে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো খাতে ঋণ দিতে পারবে।
এছাড়া প্রাক্-অর্থায়নের আওতায় আগের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ৬০ শতাংশ মেয়াদি ঋণ খাতে ও ৪০ শতাংশ চলতি মূলধন খাতে বিনিয়োগ করতে হবে। এ সম্পর্কে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মেয়াদি ঋণে ৬ মাসে ঋণ পরিশোধে বিরতিসহ ৫ বছর মেয়াদ দিতে হবে। এই ঋণে সুদসহ কিস্তি আদায় করতে হবে তিন মাস পর থেকে। চলতি মূলধনের দেওয়া ঋণ এক বছর পর সুদসহ কিস্তি আদায় করতে হবে।
জাতীয় শিল্পনীতিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ঋণের ২৫ শতাংশ দিতে হবে এসএমই খাতে। মূলত এই লক্ষ্য অর্জন করতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন নির্দেশনাটি দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে সিএমএসএমই খাতে যে ঋণ বিতরণ করা হবে, তার ৪০ শতাংশ উৎপাদনশীল খাতে, ২৫ শতাংশ সেবা খাতে ও ৩৫ শতাংশ ব্যবসা খাতে যাবে। এই নীতিতেই ছাড় দিল বাংলাদেশ ব্যাংক।