তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এক মৎস্য চাষীর লীজকৃত পুকুরে জোড়পূর্বক প্রায় ১ লাখ টাকা মূল্যের মাছ ধরে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বারুহাঁস ইউনিয়নের রানীদিঘি এলাকার ইদগাহ মাঠ পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।
এ দিকে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গুল্টা গ্রামের রইচ উদ্দিনের ছেলে মৎস্য চাষী হাবিবুর রহমান তাড়াশ থানায় দুই প্রভাবশালী ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নূরে আলম জানিয়েছে, ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মৎস্য চাষী হাবিবুর রহমান পাশ্ববর্তী রানীদিঘি গ্রামের ইদগাহ মাঠ নামের একটি ৩ বিঘা আয়তনের পুকুর ওই গ্রামের খাজা ময়েজ উদ্দিনসহ তিন সহদর কাছে থেকে তিন বছর মাছ চাষ করার জন্য লীজ নেন। আর প্রায় বছর খানেক যাবৎ সেখানে তিনি দেশিও প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছেন।
তারাই ধারবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে হাবিবুর বিক্রি জন্য পুকুরে জাল নামিয়ে মাছ ধরছিলেন। কিন্তু এ সময় রানীদিঘি গ্রামের প্রভাবশালী কুতুব উদ্দিন ও পাপ্পু সরকার পুকুরের কিছু অংশ নিজেদের দাবী করে মৎস্য চাষী হাবিবুরকে মাছ ধরতে নিধেষ করেন।
কিন্তু হাবিবুর তাঁদের বলেন, আমি টাকা দিয়ে পুকুর লীজ নিয়ে মাছ চাষ করেছি। সেহেতু মাছ আমিই ধরবো। এ কথা বলার সাথে সাথে ওই তিন প্রভাবশালী হাবিবুরকে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে প্রভাবশালীরা হাবিবুরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পুকুর থেকে তাড়িয়ে দেন। পরে প্রভাবশালীরা ওই পুকুর থেকে প্রায় ১ লাখ টাকা মূল্যের মাছ ধরে নেন।
অবশ্য, প্রভাবশালী কুতুব উদ্দিন বলেন, হাবিবুর যাঁদের কাছে থেকে পুকুর লীজ নিয়েছেন তাঁদের সাথে আমরাও পুকুরটির কিছু অংশের বৈধ অংশীদার। তাই পুকুরে হাবিবুরকে মাছ ধরে আমাদের অংশের পাপ্য টাকা দেবার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু সে রাজি না হওয়ায় আমরা আমাদের অংশের মাছ ধরেছি।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করা হবে।
ᐧ