বেলজিয়ামে সফররত প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ডিরেক্টরেট জেনারেল ফর ট্রেড এবং ডিরেক্টরেট জেনারেল ফর এমপ্লয়মেন্ট, স্যোশাল অ্যাফেয়ার্স ও ইনক্লুশন জুস্ট কোর্তের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। এ ছাড়া ইইউর এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইইউ ট্রেড কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের হেড অব কেবিনেট মাইকেল হেগারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল দেশে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, সবুজ কারখানায় টেকসই উৎপাদন কৌশল, কারখানা পরিদর্শন, প্রযুক্তির ব্যবহার, আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতির বিষয়গুলো তুলে ধরে। এ সময় ইইউ বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত ও জোরদার করার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করে। বৈঠকে ডিরেক্টরেট জেনারেল ফর এমপ্লয়মেন্ট জুস্ট কোর্তে বলেন, ইইউ বাংলাদেশকে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে। বাংলাদেশের শ্রম খাতে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি রক্ষার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
ডিরেক্টরেট জেনারেল ট্রেডের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর আরও ছয় বছরের জন্য ইন্টারন্যাশনাল সাপোর্ট মেজারস (আইএসএম) অব্যাহত রাখা এবং এ বিষয়ে এলডিসি গ্রুপের সাবমিশনের ক্ষেত্রে ডব্লিউটিওর নেগোশিয়েশনে ইইউর জোরালো সমর্থনের জন্য অনুরোধ করেন। ইইউর আলোচনাধীন নতুন জিএসপিতে বাংলাদেশের বাণিজ্য স্বার্থ, বিশেষ করে পোশাক খাতের সুরক্ষা প্রদানের অনুরোধও জানান তাঁরা। ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ফর ট্রেড মারিয়া মার্টিন প্র্যাটের নেতৃত্বে ইইউর প্রতিনিধি দল বাংলাদেশকে বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বেলজিয়াম ও ইইউতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট সভাপতি নিহাদ কবির, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের মহাসচিব ফারুক আহমেদ এবং ব্রাসেলসে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।