শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ

চলাচলের রাস্তা বন্ধ করল প্রভাবশালীরা, অবরুদ্ধ ২০ পরিবার

রিপোর্টারের নাম / ১৮৩ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে




নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের মধ্য-শাকপালদিয়া গ্রামের ছিমাইলের খালপারের সড়কটি এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল বন্ধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শাকপালদিয়া গ্রামের শুকুর মোল্লার ছেলে ছমির মোল্লা (৪৫) ও কবির মোল্লা (৪২) এবং তাদের লোকজন সড়কের উপর পাটকাঠির পালা দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে রেখেছেন। এতে এলাকার অন্তত ২০টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।

এ ব্যাপারে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর, ভুক্তভোগীদের পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শাকপালদিয়া গ্রামের আঃ ছত্তার শেখের ছেলে মোঃ আজিজুল হোসেন (রানা)।

আজিজুল বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত লোকজন চলাফেরা করে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা এখান দিয়ে যাতায়াত করে। গ্রামের সবাই রাস্তাটি দিয়ে মাঠের যাবতীয় ফসল বাড়িতে আনা-নেওয়াসহ বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। কিন্তু শাকপালদিয়া গ্রামের ছমির মোল্লা ও তার লোকজন, দীর্ঘ ১৭ দিন যাবত সর্বসাধারনের যাতায়াতের রাস্তাটি জোর পূর্বক বন্ধ করে রেখেছে। এতে করে কেউ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছেনা। এতে স্থানীয়রা চরম ভোগান্তির মধ্যে দিন পার করছে। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারতেছে না। জরুরী কোন কাজে কেউ কোন ভাবেই যেতে পারছে না। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাকে হাসপাতালে নেওয়ারও কোন ব্যবস্থা নাই। তাকে বার বার রাস্তা থেকে পাটকাঠির পালা সরানোর কথা বলা হলেও সে কারো কোন কথা শোনে না। সে জোর পূর্বক পেশী শক্তির বলে সরকারি রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমাধান না হওয়ায় সকলের পরামর্শে সুষ্ঠু সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেছি।

অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে ছমির মোল্লা বলেন, এই রাস্তা দিয়ে এলাকার শত শত মানুষ চলাচল করে এটা ঠিক! কিন্তু রাস্তার পাশের কয়েকটি গাছের কারনে রাস্তার উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। গাছ গুলো কেটে না নেওয়ায়, আমি রাগ করে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছি।

নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মঈনুল হক বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি সমাধানের জন্য উপজেলা এসিল্যান্ড মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সোনিয়া হোসেন জিসান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তহসিলদারকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir