অনলাইন ডেস্ক:
ফ্যাশনে এখন নেইল আর্ট বা নখের সজ্জা বেশ ট্রেন্ডি ও জনপ্রিয়। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়ে থেকে কর্মজীবী নারী; নখের সাজ প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ব্যাপক জনপ্রিয়। কত বিচিত্র আর অভিনব উপায়ে নখ সাজানো যায়, তার হিসাব নেই। নখের সাজে প্রকাশ পায় শিল্প-সাহিত্য।
নখের সাজে নতুনত্ব আনতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রং। গাঢ়, নাকি হালকা- কোন রঙে সাজাবেন আপনার নখ, তার আছে বিভিন্ন পথ। বিশেষজ্ঞদের মতে, নখের ক্ষেত্রে গাঢ় রংগুলো চলন বেশি। একদম একরঙা না করে এগুলোর ওপর নানা ধরনের প্যাটার্ন ও নকশা ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। এ সময়ের জনপ্রিয় তিনটি ডিজাইন হচ্ছে রংধনু, অর্ধেক চাঁদ ও মারবেল আর্ট এবং পলকা ডট আর্ট। একঘেয়েমি কাটাতে চার নখে এক রং ও একটি নখে আলাদা রং করা হচ্ছে। পাশাপাশি এক নখেই ব্যবহার হচ্ছে একাধিক রং। আকর্ষণীয় করে তুলতে সাজানো হচ্ছে গ্লিটার, বিভিন্ন রঙের পাথর ও মুক্তা দিয়ে।
পোশাকের সঙ্গে কালার ম্যাচিং করে নখ রাঙানোর চল তো সেই কবে থেকেই চলে আসছে। তবে এ সময় সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে নকশা, কারুকাজ আর বর্ণিল পাথরের ঝিলিকে নখের সাজ। ফুল, লতা, প্রজাপতির পাখা। টিনএজার থেকে মধ্যবয়স্ক- ফ্যাশনপ্রিয় সব মেয়ের কাছে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নখের অলংকরণ। নানা নজরকাড়া নকশায় নখকে অনন্য করে তোলা হচ্ছে।
ফ্যাশনের চর্চায় পুরনো জিনিসের প্রত্যাবর্তন নতুন কোনো ঘটনা নয়। এ জন্যই এখন আশির দশকের রীতি অনুসরণ করতে দেখা যাচ্ছে। আশির দশকে প্রচলিত সাদাকালো জ্যামিতিক নকশা, গ্লিটার, সিকুইন, একরঙা সাদার প্রাধান্য চলছে নখের সজ্জায়। এ ছাড়া চুলের রং ও মেকআপের সঙ্গে মিল রেখে নেইল আর্ট করার প্রবণতাও রয়েছে। ফ্রেঞ্চ টিপ, বোল্ড মেটালিক, রেডিয়েন্ট ওপাল, লেটারিং, ডটেড ডিজিটস, স্পারকাল, ইলেকট্রিক প্রিন্ট, গ্রাফিক লাইনস, মাল্টিকালার স্ট্রাইপসহ বিভিন্ন নকশার ব্যবহার হচ্ছে নেইল আর্টে।
সাধারণ দুই বা তিন রঙে করা হয় এসব নখের সাজ। সে ক্ষেত্রে কিছু কিছু রঙের সঙ্গে কিছু নির্দিষ্ট রং বেছে নিতে পারেন। যেমন- গোলাপির ওপর পেস্ট বা লাল, সাদার ওপর কালো বা লাল অথবা নীল, বেগুনি। হলুদের সঙ্গে সাদা, নীলের সঙ্গে সাদা বা বেগুনি, সবুজ ও সাদা। তবে নেইল পলিশগুলো যেন ভালো ব্র্যান্ডের হয়। নখ পরিষ্কার করে নখে ভ্যাসলিন বা ভালো ময়েশ্চারাইজারযুক্ত লোশন ব্যবহার করতে পারেন। নখ পরিষ্কার করতে কুসুম গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস, মধু ও শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। এতে নখ উজ্জ্বল হবে।
লেখা : নূরজাহান জেবিন