নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় গত ২৩ জুলাই বিকাল ৫ টায় পাঁচলিয়া পীড় তলা মাঠে জামাত বিএনপির নেতা কর্মীদের নিয়ে এক সমাবেশ করেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত সাবেক সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরাফাত রহমান।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় মানুষকে খিচুড়ি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে সমাবেত করার চেষ্টা করেন তিনি।
সমাবেশে বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথা বলে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় অনেকেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমাবেশে অংশগ্রহণকারী একাধিক ব্যাক্তি জানান, খিচুড়ি খাওয়ানোর কথা বলে তাঁত শ্রমিক, দিন মজুর সহ অনেককেই ভুল বুঝিয়ে সমাবেশে নিয়ে আসেন। কিন্তু তার বিভিন্নরকম উস্কানীমূলক বক্তব্যে বিব্রত হয়ে সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন তারা।
এ বিষয়ে উপস্থিত ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক আমির জামাল মুন্সির সাথে কথা বললে তিনি জানান, আগেরদিন সমাবেশ স্থলে খিচুড়ি খাওয়ার কথা বলে উপস্থিত হবার জন্য আমাকে দাওয়াত দেওয়া হয়। সমাবেশের দিন সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হলে বিভিন্ন রকম উস্কানিমূলক বক্তব্য শুরু হলে আমি খিচুড়ির প্যাকেট নিয়ে সমাবেশস্থল ত্যাগ করি।
এ ঘটনায় হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেদায়েতুল আলম রেজা জানান, পাঁচলিয়ায় জামাত বিএনপি নিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত আরাফাত ঐক্যের কথা বলে বিভিন্ন রকমের বক্তব্য দেওয়ার ভিডিওটি আমরা দেখেছি, বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ দলের সিনিয়র নেতাদের অবহিত করা হবে।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। জামাত বিএনপি নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্যের বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরাফাতের বিরুদ্ধে এর আগেও নানা অপকর্মের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান এলাকাবাসী। এর মধ্যে সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ের বান্ধবীকে বিয়ে করে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন আরাফাত। এ প্রেক্ষিতে পাঁচলিয়া বদরুল আলম উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
এছাড়াও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অনিয়ম করলে সরকারি ফেয়ার প্রাইজের ডিলারশীপ বাতিল হয় তার। মানুষের কাছে থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে জায়গা দখল করে দেওয়ার অভিযোগ জোরালো। রাতের অন্ধকারে বালু চুরি সহ নানান অপকর্মে লিপ্ত বলে জানান স্থানীয়রা।
এর আগেও আরাফাতে বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন অপরাধের দায়ে একাধিকবার জেল খেটেছেন।
এছাড়াও মসজিদে জুম্মার নামাজের সময় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আসছে আরাফাত।