চার দিন আগে একটা সুস্থ-সবল মানুষ হেঁটে ল্যাবএইড হাসপাতালে এন্ডোসকপি করার জন্য গেল। এরপর সেখান থেকে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হলো। সবশেষে তাকে মৃত ঘোষণা করা হলো। এটা আমরা কেউই মেনে নিতে পারছি না। আমরা চাই অভিযুক্ত যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। আমি আমার বন্ধু হত্যার বিচার চাই।
রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে এন্ডোসকপি করাতে গিয়ে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে রাহিব রেজা (৩১) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় রাহিবের বন্ধু ইউটিউবার রাফসান লাইভে এসে এ অভিযোগ করেন।
রাহিব রেজার আরেক বন্ধু ফারহান ইসলাম বলেন, এন্ডোসকপি চলাকালে আমরা বাইরে অপেক্ষা করছিলাম। এরপর দেড় ঘণ্টা পার হলেও তাকে বাইরে আনা হচ্ছিল না। একরকম জোর করেই আমি ভিতরে ঢুকে যাই এবং তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পাই। তখন চিকিৎসকরা জানান তার অবস্থা জটিল, আইসিইউতে নিয়ে যেতে হবে। এরপর সোমবার সকালে তার লাশ আমাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। স্বজনদের অভিযোগ, ল্যাবএইড হাসপাতালে পরীক্ষার রিপোর্ট না দেখেই রাহিব রেজাকে অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করা হয়। শারীরিক জটিলতার মধ্যেই এন্ডোসকপি করা হয়। যে কারণে তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় এবং একপর্যায়ে শারীরিক অবস্থা আরও জটিল হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। গত সোমবার সকালে ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাহিব রেজার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্ত্রী ও স্বজনরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। জানা গেছে, পেটে গ্যাসজনিত সমস্যার কারণে রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাবের (স্বপ্নীল) কাছে যান রাহিব রেজা। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ল্যাবএইডে এন্ডোসকপি করানোর পরামর্শ দেন ডা. স্বপ্নীল। ফারহান ইসলাম আরও বলেন, ডা. স্বপ্নীলের বিরুদ্ধে প্রায়ই শুনতাম ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগীদের বসিয়ে রেখে এদিক-সেদিক চলে যেতেন। তারপরও রাহিব যেহেতু তাকে আগে দেখিয়েছে এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার কাছেই এন্ডোসকপি করবে, তখন আমিও সেখানে যাই। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আমরা সেখানে উপস্থিত হই এবং ডা. স্বপ্নীলের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। ১০টার দিকে তিনি আসেন। এরপর তাড়াহুড়ো করে রাহিবের পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট না দেখেই এন্ডোসকপি করাতে নিয়ে যায়।