জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা শহরের রেলওয়ে কলোনী এলাকায় বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে গিয়ে ৩ পুলিশ সদস্য হামলার শিকার হয়েছে। এঘটনায় দেশীয় অস্ত্র ও ২০ লিটার দেশীয় মদসহ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতার স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রেলওয়ে কলোনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেছে।
মামলাসূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে জরিনা বেগম নামে একজন অভিযোগ করে যে তার নাবালিকা মেয়ে নদী খাতুন (১৪) কে তার স্বামী সাইদুল ইসলাম বসতবাড়িতে আটকে রেখে বাল্যবিবাহ দিচ্ছেন। এজন্য তার আইনি সহায়তা প্রয়োজন। পরে জরিনা বেগম থানায় গেলে সঙ্গে করে অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশক্রমে সিরাজগঞ্জ সদর থানার এস আই ব্রজেশ্বর বর্মনসহ সঙ্গীয় অফিসার ও নারী ফোর্স রেলওয়ে কলোনীর সংবাদদাতার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিবাহের সত্যতা পায়।
পরে পুলিশ বাল্যবিবাহ না দিতে নিষেধ করলে সংশ্লিট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বললে একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত রানার নেতৃত্বে পলাতক সাইদুল ইসলাম (৪০), টুনি বেগম (৪১), আমেনা বেগম (৩৫), ইব্রাহিম (২৭), রেজা (৩০), বাবু ওরফে বড়বাণু (৪০), আশিক (২৭), নুর ইসলাম (৫৬), আসলাম (৩৫), হাসানসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জন আসামী পুলিশের উপর চড়াও হয় এবং একপর্যায়ে এস আই ব্রজেশ্বর বর্মনসহ তার সাথে থাকা অফিসার ও নারী পুলিশকে ঘিরে ধরে আক্রমন করে এবং তার সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেলটি ভাংচুর করে।
এসময় সংবাদদাতা জরিনাসহ তার সাথে থাকা ছেলে জীবন (১৬) ও নাবালিকা মেয়ে নদী খাতুন (১৪) কেও মারপিট করে। একপর্যায়ে পলাতক আসামীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটের ঢিল ছুড়লে ইটের আঘাতে এস আই ব্রজেশ্বর বর্মনসহ তার সাথে থাকা অফিসার ও নারী পুলিশ আঘাত প্রাপ্ত হয়। পরে সঙ্গে থাকা বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে থানায় সংবাদ দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাসহ অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছালে আসামীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামী রানার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তার স্ত্রীকে বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র ও ২০ লিটার চোলাই মদসহ গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হওয়া আলামতগুলোর মধ্যে ৩ টি তলোয়ার, ২টি বড় ছোড়া ও একটি বল্লম রয়েছে।