জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের একমাত্র হল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল। এ হলের ক্যান্টিনে খাবারের দাম ঠিক থাকলেও, খাবারের মান নিন্মমানের। খাবারের সঙ্গে হাতের আঙটি, মাছি, তেলাপোকা পাওয়ারও নজির রয়েছে। সর্বশেষ আজ বুধবার (১৫ মে) হলের খাবারে মাছি-তেলাপোকা পেয়েছে ছাত্রীরা।
নাম গোপন রাখার শর্তে ছাত্রী হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, গত একমাস ধরে হলের খাবারের মান খুবই খারাপ। বারবার অভিযোগ দিয়েও সুরাহা হয়নি। আজ দুপুরে খাওয়ার সময় তরকারিতে তেলাপোকা এবং মাছি পেয়েছি। ক্যান্টিনে খাবার ঢাকা থাকেনা। যারা খাবার পরিবেশন করে কোনো সুরক্ষা থাকে না। হলের দায়িত্বরত ম্যামকেও পাওয়া যায়না।
সূত্রে জানায়, হলের এক প্লেট ভাতের দাম দশ টাকা, মুরগি ও মাছের দাম ৩৫ টাকা, গিলা-কলজা ও খাসির মাথার মুগডালের দাম ৪০ টাকা, ভর্তা ও সবজির দাম ১০ টাকা। শিক্ষার্থীদের দাবি- হলে এক বেলা খেতে শিক্ষার্থীদের খরচ হয় কমপক্ষে ৬০ টাকা, সেই হিসেবে খাবারের মান নিন্মমানের।মাস্টার্সের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী তাহমিদা জান্নাত বলেন, আমি দুই দিন নিজে রান্না করতে পারিনি, হলের খাবার খেয়েছি। পরে সমস্যা দেখা দিয়েছে। মাছে কেমিক্যালের গন্ধ পাওয়া যায়, তরকারিতে হলুদের গন্ধ থাকে। এ ছাড়াও খাবারে হাতের আংটি, তেলাপোকা, অন্যান্য পোকা পাওয়া যায়। এটা খুবই অস্বাস্থ্যকর।
ক্যান্টিন কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. নিগার সুলতানা বলেন, আজ খাবারে মাছি পাওয়ার বিষয়ে কোনো অভিযোগ ছাত্রীরা করেনি। এমনটা হওয়ার কথা না। আমরা রেগুলার এটা দেখভাল করি। অস্বাস্থ্যকর উপায়ে খাবার পরিবেশনের বিষয়ে তিনি বলেন, যারা খাবার পরিবেশন করেন তারা হয়তো গ্লাভস পরেন না। এ বিষয়টি আমরা দেখব।
এবিষয়ে ছাত্রী হলের প্রোভোস্ট অধ্যাপক ড. দিপীকা রাণী সরকারকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।