সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আব্দুল্লাহ আল মামুন এর বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলায় উপজেলার সকল ছোট-বড় খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমান চাঁদা নিয়ে থাকেন এই স্যানিটারী ইন্সপেক্টর। এমন কি মেছড়া ইউনিয়নের রুপসা হাটে জাটকা নিধনের নামে জেলেদের নিকট থেকে মাছ নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এছাড়াও ২০২৩ সালে ছোনগাছা বাজারে এক দোকানে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের অভিযোগ মোটা অংকের ঘুষ দাবী করায় দোকান মালিকগন মারপিটের উদ্দেশ্য ধাওয়া দিয়েছিল।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২০ইং সাল থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত তিনি স্যানিটারী ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত থেকে সংশ্লিষ্টদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছেন। যে কারণে সদর উপজেলায় সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত কার্যক্রম ভেস্তে যেতে বসেছে।
অভিযোগ রয়েছে, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় সর্বত্রই সকল ছোট-বড় খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, নিম্নমানের ও মান বহির্ভূত খাদ্যপণ্য তৈরি করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি এই স্যানিটারী ইন্সপেক্টর। এ ক্ষেত্রে তিনি আইনি ফাঁক-ফোকর দেখিয়ে অর্থ উৎকোচের সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় সর্বত্র মানহীন খাদ্যপণ্য উৎপাদক, বিক্রেতারা জনসাধারণকে দিন দিন ধোঁকা দিলেও স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আব্দুল্লাহ আল মামুন কোনো মাথা ব্যথা পরিলক্ষিত হয় না। সদর উপজেলায় নেই নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর কোন প্রয়োগও। মাঝে মধ্যে সদর উপজেলায় লোক দেখানো অভিযান পরিচালিত হলেও খাদ্যের নমুনা পরীক্ষায় দীর্ঘসূত্রিতা দেখিয়ে তা অঙ্কুরেই ধামাচাপা দেয়া হয় ।
খাদ্য প্রস্তুতকারী রেস্তোরাঁ বা বেকারি ও খুচরা বিক্রেতা পরিদর্শনকালে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আব্দুল্লাহ আল মামুন মোটা অংকের টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রে খাদ্য কারখানা পরিদর্শনে খাদ্য পণ্যের নমুনা সংগ্রহে ঘুষের বিনিময়ে বিএসটিআই’র ফিল্ড অফিসারদের শৈথিল্য প্রদর্শন ক্ষেত্রভেদে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে থাকেন।
মাসিক ঘুষের বিনিময়ে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আব্দুল্লাহ আল মামুন কর্তৃক সদর উপজেলায় বড় দোকানদার, রেস্তোরা ও বেকারির মালিকের সাথে সমঝোতামূলক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হোটেল ব্যবসায়ী জানান, তিনি আইনের ভয় দেখিয়ে মূল্য পরিশোধ না করে নমুনা সংগ্রহ এবং ব্যক্তিগত ভোগে ব্যবহার, পরিদর্শন কার্যক্রমে নিজ উদ্যোগে সোর্স নিয়োগ এবং সোর্সদের সুবিধা প্রদানের খরচও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে আদায় করে থাকেন।
অভিযোগ রয়েছে, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরীক্ষাগার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আব্দুল্লাহ আল মামুন এর যোগসাজসে ও নমুনা পরীক্ষা না করে ঘুষ ও উপঢৌকনের বিনিময়ে সনদ প্রদান করে থাকেন।
সদর উপজেলার শহরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারের বেকারী, মিষ্টান্ন ভান্ডার ও খাবারের হোটেল মালিকদের অভিযোগ, বছরের পর বছর বিভিন্ন দোকান থেকে নেয়া উৎকোচের টাকায় আব্দুল্লাহ আল মামুন একাধিক বাড়ির মালিক ও সম্পদের মালিক হয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ সম্পর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে’।
প্রকাশক: সোহেল রানা II সম্পাদক: আব্দুস সামাদ সায়েম II অফিস: দ্য পিপলস্ নিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কম বাজার স্টেশন, রেলওয়ে কলোনী,সিরাজগঞ্জ II মোবা: ০১৭১২-৪০৭২৮২,০১৭১১-১১৬২৫৭ II ই-মেইল thepeoplesnews24@gmail.com II
©২০১৫-২০২৫ সর্বস্ত্ব সংরক্ষিত । তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত (নিবন্ধন নং-২১০)