আজ ২৩ মে ২০২৪ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে থেকে জেনারেল আজিজের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার, অপেশাদারিত্ব, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে তার ও নিকটজনের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেশ, জাতি ও রাষ্ট্রের জন্য অমর্যাদাকর। ইতোমধ্যে সেনা, পুলিশসহ বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গুম, খুন, অনিয়ম, অপেশাদারিত্ব, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। তাদের কৃত অপরাধের বিচার শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর অর্জন ভূলুণ্ঠিত করবে। এদেশের জনগন প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপর ব্যাপক ভাবে আস্থা ও বিশ্বাস রাখে। বহিঃশত্রুর আক্রমন প্রতিহত করতে বড়াইবাড়ী সীমান্তে জনগণ জীবন বাজি রেখে লড়াই করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে প্রমাণ দিয়েছে যে কোন সংকটে সামরিক বাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ রক্ষায় নাগরিকরা ঝাঁপিয়ে পড়বে। কিন্তু সামরিক বাহিনীতে চাকুরীকালীন সেনা বাহিনীর প্রধান, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গুম, খুন, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগ সামরিক বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা—বিশ্বাস হারালে যে কোন সংকট মুহুর্তে জনগণ দেশ রক্ষায় আস্থার সংকটে ভুগবে। যা দেশের সার্বভৌমত্বকে দূর্বল করবে।”
তিনি বলেন, “বিশ্বের দরবারে দুর্নীতিগ্রস্থ, সুশাসনহীন ও গণতন্ত্রহীন দেশের তালিকায় বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান তালিকার উপরের দিকে। কিন্তু সাধারণ জনগণ সামরিক বাহিনীর প্রতি আস্থাশীল। এমতাবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুম, খুন, দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা আনীত অভিযোগ সমূহ জনগণ মর্মাহত করেছে। তাই অবিলম্বে জেনারেল আজিজসহ সকলকে আইনের আওতায় এনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার রাষ্ট্রের অস্তিত্বের স্বার্থেই জরুরী। অন্যথায় দেশপ্রেমিক জনগণ ও সৎ সামরিক এবং বেসামরিক পেশাদাররা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশরক্ষায় বিদ্রোহ করতে বাধ্য হবে।”