২৭ জানুয়ারি ঐতিহাসিক সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।
রোববার (২ জুন) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হবে। অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা বাবু রিটের পক্ষে শুনানি করবেন।
১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি তদানীন্তন ব্রিটিশ সরকারের লেলিয়ে দেওয়া পুলিশ বাহিনীর গুলিতে রায়গঞ্জ থানার সলঙ্গা হাটে বিলেতি পণ্য বর্জন-আন্দোলনের কর্মীসহ সাধারণ হাটুরে জনতা শহীদ হন। ব্রিটিশ শাসন আমলে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনে জনতা উদ্বেলিত হয়ে বিলেতি পণ্য বর্জন করে স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। এ আন্দোলনের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে সলঙ্গায়। সে সময় তৎকালীন পাবনা জেলার এবং বর্তমান সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গায় একটি ব্যবসায়িক জনপথ হিসেবে সপ্তাহে দু’দিন হাট বসত। ১৯২২ সালে ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার ছিল বড় হাটবার। মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগী শেষ নেতৃত্বে অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনের কর্মীরা হাটে বিলেতি পণ্য কেনা-বেচা বন্ধ করে দেন। স্বদেশি আন্দোলনের কর্মীদের রুখতে ছুটে আসে পাবনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরএন দাস, জেলা পুলিশ সুপার ও সিরাজগঞ্জ মহুকুমা প্রশাসনক এসকে সিনহাসহ ৪০ জন সশস্ত্র লাল পাগড়ীওয়ালা পুলিশ। সলঙ্গার গো হাটায় ছিল বিপল্লী স্বদেশী কর্মীদের অফিস। পুলিশ কংগ্রেস অফিস ঘেরাও করে গ্রেপ্তার করে মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুর রশীদকে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুক্ত করতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।