সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার গোলকপূর সিদ্দিকিয়া দ্বিমূখী ফাজিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে না জানিয়ে গোপনে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এইচ এসসি সমমান আলিমে ভর্তির অনলাইন আবেদন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগ করেন ওই কলেজ থেকে সদ্য দাখিল পাশ করা শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্য ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২৬ মে থেকে অনলাইনে একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদন শুরু হয়ে ১১ ই জুন শেষ। গোলকপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীরা পছন্দের কলেজে ভর্তির আবেদন করতে কম্পিউটারের দোকানে যায়। পরে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চয়েস দিয়ে তাদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করা হয়েছে বলে জানতে পারে।
শিক্ষার্থী জেহাদুল ইসলাম জানান, আমি ৪.১৭ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি – গত কয়েক দিন আগে আমি ভালো কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য কম্পিউটারের দোকানে আবেদন দিতে গিয়ে দেখি আমার আবেদন মাদ্রাসাতেই হয়ে গেছে।
পরে আমি ও আমার বাবা মাদ্রাসায় আসলে শিক্ষকরা বিভিন্ন প্রকার তালবাহানা করতে থাকে।
আবেদন বাতিলের জন্য বললেও তারা আমলে না নিয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি ও বেতন, সেশন চাজের নামে অতিরিক্ত অর্থের দাবি করে।
আমি ভালো রেজাল্ট করে ভালো কলেজে ভর্তি হব।
জিহাদের বাবা জুলমত হোসেন জানায়, আমাকে অবহিত না করেই তারা আমার ছেলের ভর্তির অনলাইনে আবেদন দিয়েছে আমি সন্তানকে ভালো কলেজে ভর্তি করাবে। এখন কাল আবেদনের শেষ তারিখ হওয়া সত্তেও আমাকে আইডি পাসওয়ার্ড দেয় নাই। এখন আমার ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি চিন্তিত।
অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রোল ও রেজিষ্ট্রেশন নম্বর থাকায় অনলাইনে ভুয়া মোবাইল নম্বর দিয়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আব্দুল আজিজ ও সহাকারী শিক্ষক ছালাম এর যোগসাজেসে অফিস সহায়ক নিজ প্রতিষ্ঠানে তাদের ভর্তির আবেদন করেছেন। ফলে পছন্দের কলেজে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা ওই আবেদন বাতিল চেয়ে পুনরায় আবেদনের দাবি জানিয়েছেন।
অধ্যাক্ষ্য আনিছুর রহমান জানান, আমি গত ২৭ তারিখে মাদ্রাসায় সুপারের দায়িত্ব নিয়েছি। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না, অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে একটা সমাধান করে দিব।
জোরপূর্বক বা শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে আবেদন করিয়ে দেওয়ার বিষয়ে বলেন, কেরানী সাহেব ও অফিস সহায়ক আব্দুল খালেক বিষয়টি দেখছে। আমি নতুন তেমন কিছুই বলতে পারবো না তাদের সাথে একটু কথা বলেন।
অফিস সহায়ক আব্দুল খালেক জানান, আব্দুল আজিজ স্যার ও ছালাম স্যার ভর্তি কমিটির দায়িত্বে ছিলেন তাদের নির্দেশনায় আবেদন হয়েছে। তাদের সাথে কথা বলেন।
এ বিষয়ে, সহাকারী অধ্যাপক, আব্দুস ছালাম জানান, আমরা গিয়েছিলাম গার্ডিয়ানদের কাছে। তবে কয়জনের ভর্তির আবেদন দেওয়া হয়েছে আমার জানানেই। আমি এ বিষয়ে কিছুই বলতো পারব না।
এ বিষয়ে জানতে, উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কে এম শামসুল আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোনের লাইন কেটে দেন।