যুক্তরাজ্যে গত ৫০ বছরে এই প্রথম যত শিশু জন্ম নিয়েছে তার চেয়ে বেশি মারা গেছে।মঙ্গলবার সরকারি পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে। জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের পরিসংখ্যান অনুসারে, নারীদের ফার্টিলিটি হ্রাস এবং অধিক শিশু মৃত্যুর ফলে জন্ম উদযাপনের চেয়ে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বেশি সংঘটিত হয়েছে।
২০২৩ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে মৃত্যুর তুলনায় আনুমানিক ১৬ হাজার ৩০০ শিশু কম জন্ম নিয়েছে। ১৯৭০ সালে শিশু মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার পর এই প্রথম আবারও জন্মের চেয়ে মৃত শিশু বেশি দেখা গেল। এদিকে বেঁচে থাকা শিশু সংখ্যা কমে গেলেও দেশের জনসংখ্যা আবার বেড়েছে। জন্মের উপর মৃত্যুর প্রাধান্যকে অর্থনীতিবিদরা ব্রিটেনের জনসংখ্যার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
রেজোলিউশন ফাউন্ডেশনের ইকোনমিস্ট চার্লি ম্যাককার্ডি বলেন, অভিবাসী বান্ধব এলাকা বিশেষ করে শহরাঞ্চলে কম বয়সী মানুষের সংখ্যা বাড়লেও গ্রামীণ এলাকায় বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এজন্য গ্রামীণ এলাকায় বেশি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে হবে।
পরিসংখ্যান অফিস আরো জানিয়েছে, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের মোট ফার্টিলিটির রেট ২০২১ সালে ছিল নারী প্রতি ১.৫৫ শিশু। ২০২২ সালে ১.৪৯ শিশুতে নেমে এসেছে। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বলছে, জনসংখ্যা ঠিক রাখার জন্য ফার্টিলিটি রেট কমপক্ষে ২.১ শিশু হওয়া দরকার।
এদিকে জনসংখ্যাবিদরা বলছেন, অদূর ভবিষ্যতে জন্মহার আবারও মৃত্যু হারের চেয়ে বাড়বে। কারণ যুক্তরাজ্য একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মেডিকেল টেকনোলজির উন্নতির কারণে সামনের দিনে মানুষ নিয়মিত বাচ্চা জন্ম দিবে বলে মনে হচ্ছে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ডেমোগ্রাফিক সায়েন্সের রিসার্চ ফেলো ড. আন্দ্রেয়া টিলস্ট্রা বলেন, তরুণ প্রজন্ম তাদের সন্তান ধারণ স্থগিত করায় ফার্টিলিটি রেট কমেছে। তবে শীঘ্রই এটি আবার বাড়তে পারে। বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছর হওয়ার পর বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে সন্তান জন্ম দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। ফলে জনসংখ্যার ভারসাম্য ঠিক থাকবে।
প্রকাশক: সোহেল রানা II সম্পাদক: আব্দুস সামাদ সায়েম II অফিস: দ্য পিপলস্ নিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কম বাজার স্টেশন, রেলওয়ে কলোনী,সিরাজগঞ্জ II মোবা: ০১৭১২-৪০৭২৮২,০১৭১১-১১৬২৫৭ II ই-মেইল thepeoplesnews24@gmail.com II
©২০১৫-২০২৫ সর্বস্ত্ব সংরক্ষিত । তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত (নিবন্ধন নং-২১০)