উত্তর কোরিয়ার সেনারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সাথে লড়াই করছে কিনা, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ক্রেমলিন। এর আগের দিন ইউক্রেন দাবি করেছিল, তারা পিয়ংইয়ংয়ের সেনাবাহিনীকে ক্ষয়ক্ষতির মুখে ফেলেছে।
পশ্চিমা বিশ্ব, ইউক্রেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ায় ১০,০০০ এর বেশি সৈন্য পাঠিয়েছে যারা কিয়েভের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার বলেছেন, রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলে এই সৈন্যরা লড়াইয়ে যুক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার সেনারা রাশিয়ার ভূখণ্ডে অবস্থান করছে, বিশেষত কুরস্ক অঞ্চলে। তাদের সংখ্যা প্রায় ১১,০০০। এরমধ্যে কিছু সৈন্য ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে এবং তারা ক্ষতির শিকার হয়েছে।’
এ বিষয়ে শুক্রবার ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, এই প্রশ্ন সরাসরি বিশেষ সামরিক অভিযানের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই এটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা উচিত। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সাধারণত এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেয় না।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং তার প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা বারবার উত্তর কোরিয়ার সেনারা রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন।
এদিকে, জেলেনস্কি পশ্চিমা সমর্থকদের প্রতি আরও সমর্থন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এ পরিস্থিতিকে বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন। সম্প্রতি রাশিয়ার আইনপ্রণেতারা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুমোদন করেছেন। সেই চুক্তি অনুসারে, কোনো দেশে (রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ায়) বহিশক্তির হামলা হলে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে তাৎক্ষণিক সামরিক সহায়তা প্রদান করবে।