সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পৈত্তিক সম্পত্তি বেদখল ও হুমকী দেয়ার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ভুমিদস্যু আছাদের বিরুদ্ধে।
আছাদ আলী উপজেলার সান্দুরিয়া গ্রামের আওয়ামীলীগ সমর্থিত মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সগুনা ইউনিয়ের সান্দুরিয়া মৌজায় সান্দুরিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেন ভুলু আওয়ামীলীগ দলীয় শক্তি ব্যবহার করে ওই গ্রামের দুলাল হোসেনের পৈত্তিক সম্পত্তি জোরগাড়ী নামক স্থানে ৪ শতক খাসসহ জমাকৃত পৌনে দুই বিঘা জমি দীর্ঘ ১৭ বছর জোড়পূর্বক বেআইনী ভাবে ভোগ দখল করেছেন।
কিন্তু আ’লীগ সরকার পতনের পর জমির মুল মালিকের ওয়ারিশ দুলাল হোসেন ওই জমিতে দখলে গেলে ওই ভূমি দস্যু ইসমাইল হোসেন ভুলু আবারও ষড়যন্ত্র করে এ সম্পত্তি সান্দুরিয়া গ্রামের আছাদকে দখলের নির্দেশ দেন।
নির্দেশ পেয়ে আছাদ নিজেকে ভুমিহীন ও প্রতিবন্ধি দাবী করে ওই ৪ শতক খাসসহ জমাকৃত পৌনে দুই বিঘা জমি দখলে যাওযার চেষ্টা চালায়। এদিকে ওই আছাদের জমি- জমা এ মাঠে নেই। তবে অন্য মাঠে যথেষ্ট পরিমান রয়েছে।
এ বিষয়ে সান্দুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা এস এম রুয়াইবিন আহম্মেদ রতন বলেন, ভুমিদস্যু আছাদ এবং ভুলুর নিজস্ব নামে ওই মাঠে কোন জমি- জমা নেই। অন্য মাঠে রয়েছে।
তারা ভুমিহীন নয়। তাছাড়া তারা কথিত সাংবাদিক এনে আমার পিতার (আব্দুল গফুর) নামে মিথ্যা কথা ভিডিও রেকর্ড করে ফেসবুকে ভাইরাল করেছে।
এ ছাড়াও ওই গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম, চাঁদ আলী, জাহিদ মেম্বর ও শামসুল মোল্লা জানান, আছাদ ও ভুলুর রাস্তার পশ্চিম মাঠে কোন জমি নেই। রাস্তার পূর্ব মাঠে যথেষ্ট পরিমান জমি রয়েছে তাদের। ভুলু ১৭ বছর জোড় করে জমা জমিসহ ওই খাস জায়গা ভোগ দখল করেছে। এখন আবার ষড়যন্ত্র করে আছাদকে দিয়ে দখল করাবে, সেই চেষ্টাই করছে তারা।
এ ব্যাপারে ইসমাইল হোসেন ভুলু বলেন, এতো দিন আমি ওই জমি দখলে রেখে ভোগ করেছি। এখন আর ওই জমিতে যাব না। আছাদকে ওই জমি দিয়ে দিয়েছি। আছাদ যা করে ওদের সাথে করবে।
আছাদ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।