আমিরুল কবির সুজন, (মিঠাপুকুর) রংপুর
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ শুরু করে হঠাৎ কাজ বন্ধ রেখেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর ফলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়ছেন। আবার কবে কাজ শুরু হবে আর কবে শেষ হবে এ নিয়ে স্থানীয়দেও মাঝে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এদিকে সঠিক সময়ে কাজ না করার কারণে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। এতে করে শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকরাও রয়েছে দূর চিন্তায়। তবে শীঘ্রই কাজ শুরু করার তাগিদ দিয়ে সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদারকে চিঠি দেয়ার কথা জানিয়েছে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ।
জানা গেছে, চলতি বছর প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের (চঊউচ-৪) আওতায় সুপার স্ট্রাকচার, সাব স্ট্রাকচার ও অতিরিক্ত খরচের ব্যায় বাবদ মিঠাপুকুর উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের চিলাখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ১৭ লাখ ৫১ হাজার ৪৫১ টাকা ও গোকর্ণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ কোটি ১৫ লাখ ৯৩ হাজার ৬০০ টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে। বিদ্যালয় দুটি নির্মাণের কাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মনা কন্ট্রাকশন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠান দুটির নির্মাণ কাজের মান নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সাথে সংশ্লিষ্ঠ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এলাকার সচেতন মহলের সাথে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। নির্মাণ কাজে নিম্ন মানের বালু, রাবিশ যুক্ত খোয়া ও দলা যুক্ত সিমেন্ট ব্যবহারে বাধা দেয় স্থানীয়রা। কিন্তু ঠিকাদার স্থানীয়দের অভিযোগ আমলে না নিয়ে কাজ করতে থাকে। বিষয়টি পরর্বতীতে দুই প্রতিষ্ঠানের তদারকির দায়িত্বে থাকা দুই উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন ও মোঃ ইব্রাহীম হোসেনের নিকট অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার মেলেনি। উল্টো স্থানীয় লোকজনদের হামলা-মামলার ভয় দেখিয়ে কোনঠাসা করে ঠিকাদারের নিজস্ব প্রতিনিধি রতন নামের এক ব্যক্তি নিম্নমানের কাজ করতে থাকে। এরপর চিলাখাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুল ইসলাম স্থানীয়দের সাথে নিয়ে ঠিকাদারকে সঠিকভাবে কাজ করার আহবান জানান। কিন্তু মাত্র দুদিন পরেই ঠিকাদারের প্রতিনিধি রতন এসে কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্মাণ সামগ্রীর সমস্ত মালামালসহ মিস্ত্রীদের নিয়ে চলে যান।
টিপিএন২৪/ হৃদয়