বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বেলকুচিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনায় সংসদ সদস্যের ভাই ও সহকারি, দলে বিভক্তি বৃদ্ধি মেলায় অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন, তরুণীসহ আটক পাঁচজন‌ স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে মারপিট- আওয়ামীলীগ নেতাকে গ্রেফতার দাবীতে স্বেচ্ছাসেবকলীগের মানববন্ধন সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ অভিযানে শতাধিক ফিটনেসবিহীন গাড়ি আটক ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না চলছে কয়লা খালাস, জাহাজেই ফিরবেন সব নাবিক দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়

রাজধানীতে বসছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সিসি ক্যামেরা

রিপোর্টারের নাম / ২০১ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে

অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ‘ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা’। এই ধরনের প্রযুক্তির ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে অনেক অপরাধীকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেইসঙ্গে রহস্যভেদ হয়েছে অনেক চাঞ্চল্যকর মামলারও। রাজধানী ঢাকায় বর্তমানে স্থাপন করা এক হাজার ৬শ সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে অসংখ্য চাঞ্চল্যকর, গুরুত্বপূর্ণ মামলাসহ নানা ধরনের অপরাধের রহস্য উদ্ঘাটন ও অপরাধী গ্রেপ্তার করেছে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের আট বিভাগে বেসরকারি পর্যায়ে আরও ৫০ হাজার সিসিটিভি বসানোর পরিকল্পনা করেছে পুলিশ। পুলিশ যেসব সিসিটিভি বসিয়েছে তার মধ্যে অপরাধ দমন ও অপরাধী ধরতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) যুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো রয়েছে। এসব সিসিটিভি অপরাধ করে অপরাধী পালানোর সময় এই ধরনের সিসিটিভি সংকেত দেবে। রাজধানী ঢাকার অপরাধ দমন, নিয়ন্ত্রণ ও নিñিদ্র নিরাপত্তায় সিসিটিভি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা বিবেচনা করেই পরিকল্পনা নিয়েছে বলে পুলিশের দাবি।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে, বিশেষ করে ব্যস্ত রাস্তার মোড়, ইন্টারসেকশন, প্রবেশ-বাহির পথ, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা-কেপিআই সংলগ্ন পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা চালু রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্রাইম ট্রাফিক মনিটরিং ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে ঢাকার সার্বিক নিরাপত্তা আরও ত্বরান্বিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব ক্যামেরায় স্বয়ংক্রিয় অ্যালার্ম সিস্টেম, ফেস ডিটেকশন (চেহারা চিহ্নিতকরণ), গাড়ির নম্বর প্লেট চিহ্নিতকরণ প্রযুক্তি বা এএনপিআরসহ অন্তত ১১ ধরনের সুবিধা পাওয়া সম্ভব হবে। এই পরিকল্পনার একটি বিশেষ দিক হচ্ছে, ডিজিটাল টহল নিশ্চিত করা। অর্থাৎ গভীর রাতেও নির্জন রাস্তা থাকবে পুলিশের নজরদারিতে।

ক্যামেরায় চেহারা শনাক্তের প্রযুক্তি থাকায় অপরাধী এবং পলাতক আসামিদের সহজেই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। চুরি এবং ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ করে কেউ পালিয়ে যাওয়ার সময় সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে ধরা পড়লে-তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া থাকবে স্বয়ংক্রিয় শব্দ চিহ্নিতকরণ ব্যবস্থা। রাজধানীর কোথাও কোনো শব্দ হলে তাৎক্ষণিকভাবে শব্দের বিস্তারিত তথ্যসহ কন্ট্রোলরুমে সিগন্যাল চলে যাবে। ফলে পুলিশের ভাষায় ‘শুটিং ইনসিডেন্ট’ বা গোলাগুলির ঘটনা ঘটলে দ্রুততম সময়ে তথ্য পাবে পুলিশ। এমনকি কত দূরে গুলি হয়েছে এবং কী ধরনের অস্ত্রের গুলি, তাও চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। ক্যামেরায় থাকবে স্বয়ংক্রিয় অ্যালার্ম সিস্টেম।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মো. ফারুক হোসেন বলেছেন, রাজধানী ঢাকায় এখন এক হাজার ৬শ সিসিটিভি সক্রিয় আছে। এসব সিসিটিভির মধ্যে নতুন যে ছয় শতাধিক ক্যামেরা বসানো হয়েছে তার মধ্যে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) যুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে আরও ৫০ হাজার সিসিটিভি বসানোর পরিকল্পনার আওতায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত আছে। এই ধরনের সিসিটিভি বসানো হলে রাজধানী ঢাকার অপরাধ দমন, নিয়ন্ত্রণ ও নিñিদ্র নিরাপত্তার আওতায় চলে আসবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবেই অপরাধের রহস্য উদ্ঘাটন করে অপরাধী ধরা পড়বে বলে পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, অপরাধ দমন ও অপরাধী ধরতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) যুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা করছে পুলিশ। চুরি, ডাকাতি, খুন, ছিনতাইসহ অপরাধ দমন এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, যানজট নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে এই প্রযুক্তি। অপরাধী গ্রেপ্তারেও সহায়ক হবে। অপরাধী অপরাধ করে পালানোর সময় সংকেত দেবে এই ধরনের সিসিটিভি।
ডিএমপি সূত্র জানান, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) যুক্ত সিসিটিভি প্রযুক্তি অপরাধীদের আগের অপরাধের তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ করবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানান দেবে অপরাধীর অবস্থান। এতে আধুনিক সফটওয়্যার সংযুক্ত রয়েছে। ফলে সিসিটিভি ফুটেজ থেকেই অপরাধীর চেহারা শনাক্তসহ তার কোনো ডাটাবেজ থাকলে তা সহজেই বের করা যাবে। ক্যামেরাগুলো গাড়ির নম্বরের দিকেও খেয়াল রাখবে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে নম্বরপ্লেটের ছবি তুলে রাখতে পারবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir