নাটোরের বড়াইগ্রামের মাঝগাঁও ইউনিয়নের তিরাইল পূর্বপাড়া গ্রামে মহিলা গ্রাম পুলিশ সদস্য আম্বিয়া খাতুনের বাড়ি থেকে দেহ ব্যবসার অভিযোগে পাঁচ নারী-পুরুষকে হাতেনাতে আটক করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বুধবার রাত ১২টার দিকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন-দেহ ব্যবসার মূল হোতা তিরাইল গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের মেয়ে ও গ্রাম পুলিশ সদস্য আম্বিয়া খাতুন, একই গ্রামের হারুন অর রশিদের মেয়ে মিতু খাতুন, সুনামগঞ্জের ছাতকের এলেমান মিয়ার ছেলে সজিব হাসান রনি ও মৃত আসমত আলীর ছেলে শাকিল আহমেদ এবং নরসিংদীর রায়পুরার আকতার হোসেনের মেয়ে চাঁদনী আক্তার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রাম পুলিশ সদস্য আম্বিয়া খাতুন দীর্ঘদিন ধরে তার নিজ বাড়িতে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। তার বাড়িতে প্রায়ই অপরিচিত নারী-পুরুষের আগমণে এলাকাবাসীর মনে সন্দেহের সৃষ্টি করে। গতরাতে তারা সম্মিলিতভাবে অভিযান চালিয়ে আম্বিয়াসহ পাঁচজনকে আটক করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে থানায় নিয়ে যায়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার আড়ালে তার এহেন অনৈতিক কর্মকান্ডে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আটকদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রকাশক : সোহেল রানা সম্পাদক: আব্দুস সামাদ সায়েম
©২০১৫-২০২৫ সর্বস্ত্ব সংরক্ষিত । তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত (নিবন্ধন নং-২১০)