
পাবনার ঈশ্বরদীর সাঁড়াঘাটের ইসলাম পাড়া, ডিগ্রিরচর এলাকায় অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের মহাউৎসব মেতেছে স্থানীয় বিএনপি নেতারা। এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব এবং হুমকিতে পরেছে নদী পারের হাজারো মানুষ। প্রশাসনকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে চলছে এইসব কর্মকান্ড। ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের অভিযান করলেও নাই কোনো স্থায়ী সমাধান।
বিআইডব্লিউটিএ"র বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০০৭-৮ সালে অস্থায়ীভাবে সুলতান আলী টনি বিশ্বাস নামে নদী থেকে বালু/মাটি উত্তোলনের অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ সাল এবং বিধিমালা, ২০১১ সালে প্রণীত হওয়ার পর এই অনাপত্তিপত্রগুলোর আর কোনো কার্যকারিতা ছিল না। তবুও এই ব্যক্তি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সহসাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ এর জোকসাজসে বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অনাপত্তিপত্রের দোহাই দিয়ে এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে নদীর তলদেশ হতে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে আসছিল। বর্তমানে পট পরিবর্তনের পরে ঈশ্বরদী বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু ও তার ভাই মেহেদী হাসানসহ একটি মহাল আবার পুনরায় বালি উত্তোলন শুরু করে।
পরবর্তীতে গত ১০ নভেম্বর ২০২৫ সালে বিআইডব্লিউটিএ প্রশাসন ও মানব সম্পদ এর পরিচালক কাজি ওয়াকিল নওয়াজ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বালি/মাটি উত্তোলনে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরেও চলছে এইসব কর্মকান্ড। এছাড়াও বিআইডব্লিউটিএ থেকে নাটোর, পাবনা ও কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে এই প্রতিষ্ঠানসমূহ কিংবা অন্য কেউ বিআইডব্লিউটিএ’র নাম ব্যবহার করে পদ্মা নদীর তলদেশ হতে বালু/মাটি উত্তোলন করতে না পারে।
নৌ পুলিশের ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, অবৈধভাবে বালি উত্তোলনে আইনগত কঠোর ব্যবস্থার চিঠি পেয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কোন নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই বিষয়ে ঈশ্বরদী ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার এখনো অফিসিয়ালি সিটি পাইনি। চিঠির কপি আমাকে দেন আমি দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
প্রকাশক : সোহেল রানা সম্পাদক: আব্দুস সামাদ সায়েম
©২০১৫-২০২৫ সর্বস্ত্ব সংরক্ষিত । তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত (নিবন্ধন নং-২১০)