সিরাজগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক কলম সৈনিক পত্রিকায় গত ১৬ জুলাই তিনটি ভিন্ন ভিন্ন শিরোনাম ‘একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের ছত্রছায়ায় খান আবাসিক হোটেলে চলছে দেহ ব্যবসা’ ও ‘হাটিকুমরুল খান আবাসিক হোটেলের চা দোকানী কে এই হাসি?’ ও ‘ অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে সিরাজগঞ্জ রোডের হাটিকুমরুল খান আবাসিক হোটেলে ৪জন আটক’ প্রকাশিত সংবাদ তিনটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি তিনটি উদ্দেশ্যে প্রণোদিত, মিথ্যা ও বানোয়াট। মুলত একজন কর্মঠ নারীর সামাজিক মানসম্মান নষ্ট ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যেই সংবাদগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। মুলত আমি বর্তমানে একজন গৃহিনী। আমি আমার বাবার নির্মানাধীন খান আবাসিক হোটেলে আমার স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া মেয়ে এবং শিক্ষক স্বামীসহ স্ব-পরিবারে বসবাস করছি।
পরিবারের আর্থিক খরচ জোগান দিতে খান হোটেলের নীচে একটি চা-পান বিড়ি সিগারেটের দোকান রয়েছে। আমার স্বামী চাকুরী শেষে অবসর সময়ে পরিচালনা করেন। মাঝে-মধ্যে আমি তাকে সহযোগিতা করতে দোকানে বসে থাকি। আমার দোকানে মাদকদ্রব্যতো দুরের কথা আমার ও আমাদের পরিবারের কোন সদস্যের সাথে মাদকের বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই। সামাজিকভাবে মানসম্মান নস্ট এবং একজন নারীর কর্ম নষ্ট করার উদ্দেশ্যে কোন ধরনের তথ্য প্রমান ছাড়াই প্রতিবেদক নিজের ইচ্ছেমতো মনগড়াভাবে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করে মিথ্যা-বানোয়ান সংবাদ প্রকাশ করেছে। সংবাদে যা কিছু উল্লেখ করা হয়েছে তার সবই সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার আইনের পরিপন্থী।
এছাড়াও খান হোটেলে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করা কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। কখনো কোনদিন হোটেলে দেহ ব্যবসা হয়নি। এলাকার কোন ব্যক্তিই এ ধরনের কথা বলতে পারবে না। মুলত দীর্ঘদিন যাবত আমার বাবা হোটেলটিতে ম্যানেজারসহ কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে হোটেল পরিচালনা করছে। দুর-দুরান্তের মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে তাদের সেবা দেয়ার উদ্দেশ্যেই মুলত হোটেলের ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে। হোটেলের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। বাবার প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাঝে-মধ্যে দেখভাল করে থাকি। এছাড়াও আরেকটি সংবাদে অসামাজিক কার্যকলাপে দায়ে ৪জন আটকের যে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে তাও অসত্য। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে দুজন মেয়ে ও একজন ছেলে হোটেলে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য প্রবেশ করা মাত্রই পুলিশ হোটেলে ঢুকে তাদের আটক করে নিয়ে যায়। তারা কেউ হোটেলের গ্রাহক ছিল না। প্রকৃতপক্ষে একটি কুচক্রীমহলের প্ররোচনায় সামাজিকভাবে একজন নারীর মানসম্মান নষ্ট ও কর্মক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতেই এমন সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি।
প্রতিবাদকারী
মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস হাসি