শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:২২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কামারখন্দে ছাত্রদল সভাপতিকে পেটালেন বিএনপি নেতা ব্যবসায়ীকে অপহরণ পরে মামলায় ফাঁসলেন ওসি হালিম, তদন্ত শুরু রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবীতে ভিসিসহ সকল শিক্ষক-কর্মচারীর স্মারকলিপি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবীতে ভিসিসহ সকল শিক্ষক-কর্মচারীর স্মারকলিপি বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিএনপির দোয়া মাহফিল নাটোরের গুরুদাসপুরে ঘন কুয়াশায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু ছাত্রদল নেতাকে ছিনিয়ে নিতে নিউমার্কেট থানায় হামলা, এসিসহ আহত ৫ ২২টি মামলার আসামি,চিহ্নিত মাদক কারবারি লালন গ্রেফতার উত্তরায় পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের আট সদস্য গ্রেফতার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সিরাজগঞ্জে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি

লবণ চাষের ভূমি হবে আরেক সিঙ্গাপুর

রিপোর্টারের নাম / ১৬৮ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ১:১৪ অপরাহ্ন

কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা মাতারবাড়ী। বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এ এলাকার হাজার হাজার একর ভূমিতে একসময় সাগরের লোনাজল জমিয়ে চাষ হতো লবণের। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সেই লবণভূমিতেই তৈরি হচ্ছে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, যাকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের আগামীর স্বপ্ন। এ বন্দর ঘিরেই অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে বাংলাদেশ, যা ছাড়িয়ে যাবে সিঙ্গাপুরকেও।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘২০২৬ সালে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম পুরোদমে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কার্যক্রম শুরুর যাবতীয় কাজ শেষ করার পুরো প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’ তিনি বলেন, মাতারবাড়ী হবে অত্র অঞ্চলের বাণিজ্যিক হাব। এ বন্দর থেকে চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা বন্দরে সরাসরি পণ্য পরিবহন হবে। এ ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশ এ বন্দর ব্যবহার করবে। তখন প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। ঘটবে অর্থনৈতিক বিপ্লব, যা সিঙ্গাপুরকেও ছাড়িয়ে যাবে।’ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকা মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে হাজার হাজার একর ভূমিতে চলছে বিরামহীন কর্মযজ্ঞ, যা শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। বর্তমানে দেশি-বিদেশি হাজার হাজার প্রকৌশলী ও শ্রমিক ব্যস্ত লবণ চাষের ভূমিকে গভীর সমুদ্রবন্দরে রূপান্তর করার কাজে। এরই মধ্যে সাগরে ১৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেল তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। ২৫০ মিটার গভীর চ্যানেলকে বৃদ্ধি করে করা হচ্ছে ৩৫০ মিটারে। ড্রেজিংয়ের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বন্দরকে রক্ষার জন্য তৈরি করা হয়েছে ঢেউনিরোধ বাঁধ, যা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বুঝে নেবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসেবা দিতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজও প্রায় শেষ। আগামী জুনে তা চালু হওয়ার কথা রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি জাতীয় গ্রিডেও সরবরাহ হবে। মাতারবাড়ী বন্দরে তৈরি হয়ে গেছে অয়েল জেটি, যাতে নোঙর করেছে ১১২টি জাহাজ। এতে কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ১ দশমিক ৩৭ লাখ টন। এসব জাহাজ থেকে বন্দর আয় করেছে ৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কনটেইনার ভেসেল নোঙর করার জন্য তৈরি হবে ছয়টি জেটি। জেটি তৈরির টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আগস্টের মধ্যে শুরু হবে জেটি তৈরির নির্মাণকাজ। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে সড়কপথে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে তৈরি করা হচ্ছে প্রায় ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক। মাতারবাড়ী থেকে সড়ক তৈরির কাজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। এ সড়কটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরোদমে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। মাতারবাড়ী ঘিরে মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার, যার অংশ হিসেবে রেললাইন কক্সবাজার পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপ দেওয়া হচ্ছে। মহেশখালী এলাকাকে স্মার্ট নগরীতে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ স্মার্ট নগরীতে থাকবে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, ‘মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের কারণে আমাদের আমদানি-রপ্তানিতে সময় কমে আসবে। এখান থেকে সরাসরি পণ্য রপ্তানির কারণে আমাদের প্রতি বছর ৬ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে। বিভিন্ন দেশ এ বন্দর ব্যবহার করার কারণে আয় হবে আরও বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। এ বন্দরের কারণে অত্র এলাকার অর্থনৈতিক অবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir