স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘আমাদের বাস্তবায়িত ২৯টি প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়া ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন দুটি প্রকল্পের। আমাদের ৩১ প্রকল্প নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ১৫৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ায় টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের সঙ্গে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এতে জেলার সড়ক নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হয়েছে। জেলায় উৎপাদিত সব পণ্য সহজে বাজারজাত করা সম্ভব হচ্ছে। এ কারণে জেলার মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। এ ছাড়া গ্রামীণ সড়ক নির্মিত হওয়ায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া উপজেলার দুর্গম বিলের জলাবদ্ধ ও অনাবাদি বিপুল পরিমাণ জমি চাষাবাদের আওতায় এসেছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পগুলো হচ্ছে কোটালীপাড়া উপজেলার আটাশীবাড়ী, তালপুকুরিয়া ও ধারাবাশাইল এবং টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী ও রামচন্দ্রপুর গ্রামে আধুনিক যান্ত্রিক কৃষির সমলয় চাষাবাদ পদ্ধতি প্রকল্প।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমরিয়া ইউনিয়নে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্রামীণ পানি সরবরাহ প্রকল্প ও কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল ইউনিয়নে একটি রুরাল পাইপ ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম।
কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদে বাস্তবায়িত হয়েছে ভাঙ্গারহাট তালিমপুর-তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থাপিত শেখ রাসেল পাঠাগার প্রকল্প। গোপালগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক বড়বাজারে নির্মিত হয়েছে অত্যাধুনিক বাণিজ্যিক ভবন ও স্যানিটারি ল্যান্ডফিল। গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদ বাস্তবায়িত কোটালীপাড়ায় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈতৃক ভিটায় নির্মিত হয়েছে একটি মুক্ত মঞ্চ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়িত কোটালীপাড়া উপজেলার লাখিরপাড় রামমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্র হয়েছে। কোটালীপাড়া পৌরসভা নির্মাণ করেছে পৌরসভা কিচেন মার্কেট।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, আজ কোটালীপাড়া উপজেলার সাদুল্যাপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গারহাট তালিমপুর-তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী ৪৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।