দাম স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের চিনি আমদানিতে শুল্ক থেকে অব্যাহতি এবং রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর মাধ্যমে ৫ শতাংশ শুল্ক কমানো হয়েছে
চিনির দামে লাগাম টানতে শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। যেখানে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত আমদানিকারকরা চিনি খালাস করতে ওই সুবিধা পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতি টন পরিশোধিত চিনি আমদানিতে ৬ হাজার টাকা ও অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে ৩ হাজার টাকা শুল্ক কর নির্ধারিত ছিল। এছাড়া অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে ৩০ শতাংশ আরডি আরোপিত ছিলো। দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে এটি কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সভাপতিত্বে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের পঞ্চম সভায় আমদানি, সরবরাহ পরিস্থিতি ও বাজারমূল্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যালোচনা হয়। ওই বৈঠকে চিনি আমদানি গত ছয় মাসে প্রায় ২ লাখ টন কম হয়েছে বলে জানানো হয়। মূলত ডলার সংকটে এলসি খুলতে না পারার কারণে এই ঘাটতি তৈরি হয়েছে বলে টাস্কফোর্সের সভায় উঠে আসে। এই পরিস্থিতিতে আসছে রোজায় চিনির দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক হার যৌক্তিকীকরণের জন্য এনবিআরকে অনুরোধ করা হয়।
সূত্র জানায়, বর্তমানে প্রতি টন চিনি আমদানিতে কাস্টম ডিউটি ৩ হাজার টাকা, আরডি ৩০ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম কর ৪ শতাংশ। সব মিলিয়ে চিনি আমদানি ডিউটি পরে প্রায় ৬১ শতাংশ। দেশে উৎপাদিত চিনি চাহিদার তুলনায় নগণ্য হওয়ায় এই শুল্ক নিয়ে বিবেচনার জন্য এনবিআরকে অনুরোধ করেছিল টাস্কফোর্স কমিটি।
সাধারণত রমজান মাসে অন্য সময়ের তুলনায় চিনির চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। তাই রমজানে চিনির দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক কমানোর জন্য সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক চিঠির মাধ্যমে এনবিআরকে অনুরোধ জানিয়েছিল।