সচিব বলেন, ‘মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে নিরাপত্তাকর্মী নেবে। পাশাপাশি গৃহকর্মী নেওয়ার বিষয় আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা প্রথমটিতে খুবই উৎসাহিত। আর গৃহকর্মী নেওয়ার বিষয়ে জানিয়েছি, এ বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ করে তাদের জানাব। তাদের বলেছি, তারা যেন এ বিষয়ে পুরো প্রক্রিয়াটি আমাদের জানায়।’
প্রবাসী কল্যাণ সচিব বলেন, ‘গৃহকর্মীর ক্ষেত্রে তারা জানাচ্ছে যে বাংলাদেশের জন্য এক হাজার কোটা নির্ধারণ করেছে; কিন্তু আগে তো সিদ্ধান্ত হতে হবে যে আমরা কর্মী কী প্রক্রিয়ায় পাঠাব? কারণ আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কর্মীদের নিরাপত্তা ও ভালো থাকার ব্যবস্থা করা। নিরাপত্তাকর্মীর ক্ষেত্রে তারা কোনো সংখ্যা বলেনি। নিরাপত্তাকর্মীর ক্ষেত্রে তাদের লক্ষ্য হচ্ছে, সেনাকল্যাণ সংস্থার রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা বা প্যারামিলিটারি কর্মকর্তাদের নেওয়া।’
আর কোনো আলোচনা হয়েছে কি না—জানতে চাইলে আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, ‘তারা এখন অনলাইন সিস্টেম বাস্তবায়ন করতে সম্মতি জানিয়েছে। আশা করছি, আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে এটি বাস্তবায়িত হবে। এটা হলে আমাদের ডাটাবেইস থেকে কর্মী নেওয়া, রিক্রুটমেন্ট ও ক্লিয়ারেন্সগুলোর সঙ্গে তাদের সিস্টেমকে একত্রীকরণ সহজতর হবে। এতে আমাদের সামগ্রিকভাবে কর্মী বাছাই প্রক্রিয়ায় আরো স্বচ্ছতা আসবে। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে যে অনিয়মের কথা শোনা যায় সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।’
নতুন করে আবেদনপত্র না নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, ‘মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আবেদনের কোটা স্থগিতে উদ্বেগের কারণ নেই। চাহিদাপত্র অনুযায়ী আবেদনকারীদের মালয়েশিয়ায় যেতে বাধা নেই।’