পবিত্র রমজান মাসে অসাধু ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিচ্ছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সেই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। সকাল সাড়ে ১০টায় এ বাজারের কিচেন মার্কেটে অভিযান শুরু করেন সংস্থার সদস্যরা।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান আব্দুল জব্বার মণ্ডলসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা।
অভিযানের শুরুতে অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রমজানে কিছু বিশেষ সবজির দাম বেড়ে যায়। সে বিষয়ে আমরা আজকে তদারকি করবো। এছাড়া মুদি সামগ্রী ও মুরগির নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা সেটি তদারকি করবো। তিনি আরও বলেন, রমজানে সবজির দাম নিয়ে বিক্রেতারা যাতে ভোক্তাদের ঠকাতে না পারে এজন্য দিনভর জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের বিভিন্ন টিম অভিযান পরিচালনা করবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর রোজা শুরুর আগেই রাজধানীর বাজারে মুরগির দাম বেড়ে যায়। এ ছাড়া ডিম-চিনির দামও বেড়েছে। বাজারে গরুর মাংস বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। কেজি ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা, আর খাসির মাংসের কেজি ১০৫০-১১০০ টাকা। খোলা চিনির কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, খোলা আটা ৬০ টাকা।
তবে প্যাকেট আটা প্রতি কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৭০ টাকা। আর ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুরের ডাল ১২০-১২৫ টাকা। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকা, লবণের কেজি ৩৮-৪০ টাকা। ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিমের ডজন ১৮০-১৯০ টাকা, আর দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০-২০০ টাকা। রোজার পণ্যের দামও অনেক।