তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
একাত্তরের ২৫শে মার্চের কালো রাতে ঘুমন্ত বাঙালির ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় শহীদদের স্মরণে ও তাদের আত্মার শান্তি কামনায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় তাড়াশ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের শহীদ মিনার চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মেজবাউল করিমের সভাপতিত্বে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচীতে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরী ফাতেমা উর্মি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশগুল আজাদ, তাড়াশ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম নিরাপদ দাস, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১-এ রাতের অন্ধকারে নিরীহ বাঙালির ওপর হায়েনার মতো হামলে পড়েছিল পাকস্তানি হানাদার বাহিনী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর রাস্তা আর অলি-গলিতে বাঙালির রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠেছিল হানাদারেরা।
দেশজুড়ে চালায় হত্যাযজ্ঞ। ‘এই রাতে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। তার আহ্বানে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলাকে মুক্ত করে মানুষ।
মোমবাতি প্রজ্বলনের সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার বলেন, আজ আমরা সেই ভয়াল ২৫শে মার্চের কালো রাতে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণ করছি, যাদের তাজা রক্তের শপথ বীর বাঙালিকে অস্ত্র ধারণ করে স্বাধীনতা অর্জন না করা পর্যন্ত জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
তাই আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি, প্রয়োজনে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে হলেও ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখব এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ করব।