নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় চাহিদার চেয়ে এখন ১ হাজার ৯ শ ২৬ মেট্রিক টন মাছ বেশী উৎপাদন হচ্ছে। এলাকার বিল খাল ও পুকুরে চাষ করা মাছ ঢাকাসহ বিভিন্ন মাছের আড়তে কেনাবেচা হচ্ছে । উপজেলায় সরকারী ও ব্যক্তিগত মিলে মোট পুকুরের সংখ্যা ২ হাজার ৮ শ ৮৫ টি বলে জানা গেছে।
উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে, উল্লাপাড়া উপজেলায় মাছের চাহিদা ১৩ হাজার ৭ শ ৫ মেট্রিক টন। সেখানে ১৫ হাজার ৬ শ ৩১ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হচ্ছে। সরকারী ও ব্যক্তিগত মিলে ২ হাজার ৮ শ ৮৫ টি পুকুর আছে। পুকুরের জলা ও পাড় মিলে জমির পরিমাণ ১ হাজার ২ শ ২৭ দশমিক ৩৯ হেক্টর। সরকারী পুকুর মোট ২ শ ৩৫ টি। যার জমির পরিমাণ ১ শ ৪০ দশমিক ৬০ হেক্টর। আর ২ হাজার ৬ শ ৫০ টি ব্যক্তিগত পুকুরের জমির পরিমাণ ১ হাজার ৮৬ দশমিক ৭৯ হেক্টর।
উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের তিনটিসহ মোট পাচটি ইউনিয়ন এলাকায় বর্ষা কালে আবাদী মাঠ প্রান্তর এবং খাল বিল জলা পানিতে তলিয়ে যায়। বর্ষার পানিতে বিপুল পরিমাণ নানা মাছে ভরপুর হয়ে থাকে। বর্ষার পানি নেমে যেতেই ইউনিয়নগুলোর খাল বিল জলাভূমি থেকে মাছ ধরা শুরু হয়। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ দেশীয় নানা মাছ বিভিন্ন এলাকার মাছের আড়তে বিক্রি হয়। এদিকে সারা বছরই পুকুরগুলোয় চাষ করা মাছ বিভিন্ন এলাকার আড়তে বিক্রি করা হয়ে থাকে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছর দশেক সময়ে উল্লাপাড়া উপজেলায় ব্যাক্তিগত পুকুরের সংখ্যা বেড়েছে। এলাকায় মাছ চাষ ও মাছ চাষী বেড়েছে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আতাউর রহমান জানান, উল্লাপাড়ার মাছ বিভিন্ন আড়তে কেনাবেচা হয়। আড়তগুলো থেকে নানা ধরনের মাছ বিভিন্ন এলাকার মোকাম বাজারে বিক্রি হয়ে থাকে। গত বছর দুয়েক সময়ে উল্লাপাড়া উপজেলায় খনন করা নতুন পুকুরের সংখ্যা বিষয়ে জরিপ করা হয়নি। কৃষি জমিতে পুকুর খনন না করতে তার বিভাগ থেকে কৃষকদের মানা করা হয়।