সৌদি সরকারের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১০টি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশ। এ সিদ্ধান্তের ফলে সাড়ে ৬ হাজার হজযাত্রীর অনিশ্চয়তার অবসান হলো। মঙ্গলবার (২০ জুন) ১০টি ফ্লাইটের স্লট পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে অনুমতি দেয় সৌদি সিভিল এভিয়েশন (জিএসিএ)। যদিও ধর্ম মন্ত্রণালয় ৮টি ফ্লাইটের স্লট ব্যবহার করবে। ফলে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের সৌদি যেতে আর কোনো বাধা থাকল না।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ধর্ম সচিব আব্দুল হামিদ জমাদ্দার বলেন, সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে ১০টি অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনার জন্য অনুমতি পেয়েছি। তবে বাতিল ফ্লাইটের হজযাত্রীদের বহন করতে আপাতত ৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং তা ২২ জুনের মধ্যেই হবে।
এ প্রসঙ্গে বেসরকারি এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ৮টি অতিরিক্ত ফ্লাইট চলাচল করলে আর কোনো সঙ্কট থাকবে না। তাছাড়া বেশিরভাগ হজযাত্রীরই ভিসা হয়ে গেছে। ফলে এবার আর কোনো সঙ্কট হবে না।
ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হজ অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত বাংলাদেশ ‘বিমান’, সৌদিয়া’ ও ‘ফ্লাইনাস’ এই তিনি এয়ারলাইন্সের ২৭১টি ফ্লাইটে সৌদিতে পৌঁছেছেন ১ লাখ ২ হাজার ৬০ জন হজযাত্রী। এখনো বাকি রয়েছে ২০ হাজারের বেশি হজযাত্রী। আগামী দু’দিনে এসব হজযাত্রীদের সৌদিতে পৌঁছে দেবে এই তিনটি এয়ারলাইনস। তবে এজন্য কতটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে তা জানা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, হজযাত্রী সঙ্কটের কারণে ২৩টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছিল। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৮টি ও সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের পাঁচটি ফ্লাইট বাতিল হয়। এছাড়া অনেক ফ্লাইট আসন খালি রেখে সৌদি আরব গেছে। প্রথম দিনই ১৪০ আসন খালি রেখে বিমান যাত্রা করেছিল। এসব কারণে শেষ সময়ে এসে প্রায় ৬ হাজার ৫০০জন হজযাত্রীকে সৌদিতে পৌঁছে দিতে অতিরিক্ত ১০টি ফ্লাইটের অনুমতি চায় ধর্ম মন্ত্রণালয়। বিষয়টি সৌদি রাষ্ট্রদূতকে দিয়ে বলা হয় সৌদির ওমরাহ ও হজ মন্ত্রীকে। অবশেষে অনুমতিও মিলেছে দেশটির পক্ষ থেকে।
এদিকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১ লাখ ২২ হাজার ৫৫৬ জন হজযাত্রীর মধ্যে ভিসা পেয়েছেন ১ এক লাখ ২২ হাজার ৪৭৪টি। এখনো ভিসা পাননি ৮৪ জন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর ভিসা ১০০ শতাংশ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর ভিসা ৯৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।