ঢাকার মোহাম্মদপুরে বসবাসরত বিহারিদের পুনর্বাসনের জন্য কেরানীগঞ্জে ৫ হাজার ৬০০টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এমপি সৈয়দা রুবিনা আক্তারের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, পর্যায়ক্রমে দেশের সব শহরে দরিদ্র কমিউনিটির ছিন্নমূল জনগণকে টেকসই উন্নয়নের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। ছিন্নমূল জনগণকে বিস্তৃত পরিসরে আবাসন সুবিধা দিতে গাজীপুরের টঙ্গীর দত্তপাড়ায় ভাড়াভিত্তিক আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণের ১ম পর্যায়ে ৪ হাজার ৩২টি আবাসিক ফ্ল্যাট তৈরির প্রকল্প নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, আধুনিক সুপরিকল্পিত স্মার্ট গ্রিন সিটি নির্মাণের জন্য রাজউকের অধিক্ষেত্র এলাকায় ৬ হাজার ২২৭ দশমিক ৩৬ একর জমি নিয়ে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকা গড়ে উঠেছে। উক্ত প্রকল্প এলাকায় অন্য সব সুবিধার পাশাপাশি নি¤œবিত্তের জন্য ৯টি সেক্টরে (সেক্টর নং-৩, ৪, ৮, ৯, ১০, ১৩, ১৮, ২৫ ও ২৯) সর্বমোট ৮৯ দশমিক ৮৪ একর জমিতে প্রায় ১৫ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
শরীফ আহমেদ বলেন, রাজধানীসহ প্রধান প্রধান শহরের বস্তিতে জীবিকার তাগিদে মানবেতরভাবে বসবাস করা প্রান্তিক ও স্বল্পআয়ের জনগোষ্ঠীকে ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাটে বসবাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে রাজধানী ঢাকায় বস্তিবাসীদের জন্য ১ হাজার ১টি ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণের অংশ হিসেবে মিরপুর-১১নং সেকশনে ৫৩৩টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ শেষ হয়েছে।
মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ২০২১ সালের ৩ আগস্ট এ প্রকল্পের আওতায় ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র ৩০০ পরিবারের (বস্তিবাসী) মধ্যে হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলতি বছর ওই প্রকল্পের অবশিষ্ট ২৩৩টি ফ্ল্যাট বস্তিবাসী পরিবারের মধ্যে ভাড়াভিত্তিক বরাদ্দপত্র দেয়ার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।