ঈদুল আযহার আগ মূহুর্তে সরগরম হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সোনামুখী পশু হাট। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা এসে গরু, ছাগলসহ বিভিন্ন গবাদি পশু ক্রয়-বিক্রয় করছেন এই হাটে। হাটে পর্যাপ্ত পশু থাকলেও, পশুর বাজার দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতারা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন।
সরোজমিনে রবিবার দুপুরে হাট ঘুরে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা সোনামুখী হাটে এসে পশু ক্রয়-বিক্রয় করছেন।
বগুড়ার শেরপুর থেকে পশু হাটে আসা গরু বিক্রেতা সোহরাব, কাদের ও শামীম বলেন, হাটে অন্যন্য বছরের তুলনায় এবছর গরুর দাম অনেকটাই কম। অনেকে কেনা দামের চেয়েও ১০-১৫ হাজার টাকা করে কম বলছে। ঈদের সামনে সব জিনিসের দাম বেশি হলেও পশুর দাম কম অনেক কম যাচ্ছে। লাভে বিক্রি করা তো দূরের কথা সীমিত লাভেও গরু বিক্রি করা যাচ্ছেনা।
কাজিপুর উপজেলার মেঘাই থেকে হাটে আসা ক্রেতা রফিকুল, রবিউল ও আলম বলেন, গরু ব্যবসায়ীরা পশুর দাম ন্যায্য মূল্যের চেয়ে অনেকটাই বেশি চাচ্ছে। চল্লিশ হাজার টাকা দামের গরু তারা ৭০ হাজার করে দাম চাচ্ছে। অন্যন্য হাটের তুলনায় এবছর পশুর দাম অনেক বেশি।
সোনামুখী পশু হাট কমিটির সভাপতি মো. শাহজাহান আলী জানান, অন্যন্য বছরের তুলনায় এবছরের হাট টি অনেক বেশি পরিসরে বসেছে। হাটে অনেক গরু ব্যবসায়ীরা দূর-দূরান্ত থেকে পশু নিয়ে এসেছে। তাদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য হাটে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কুমার দত্ত বলেন, কোরবানি উপলক্ষে সোনামুখী বাজারে যে পশু হাট বসেছে এ বিষয়ে হাট কমিটির সাথে কথা বলা হয়েছে। তাদের থেকে অসুবিধার কথা জেনে হাটে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাটের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে থানা পুলিশ তৎপর রয়েছে।