ভারতের ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় নির্মিত আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আসা শুরু হয়েছে। দুই ইউনিটের ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রতিটি ইউনিট ৮০০ মেগাওয়াটের। গত রবিবার রাত ১২টা থেকে দ্বিতীয় ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। গতকাল ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়া লিমিটেডকে চিঠি দিয়ে দ্বিতীয় ইউনিট চালুর কথা জানিয়েছে আদানি পাওয়ার।
এর আগে প্রথম ইউনিট থেকে বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় গত মার্চে, যা ৬ এপ্রিল থেকে বাণিজ্যিকভাবে আমদানি শুরু হয়। এ কেন্দ্র থেকে আগামী ২৫ বছর ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সূত্রে জানা যায়, এখনই সক্ষমতার পুরো বিদ্যুৎ আদানি থেকে আমদানি করা যাবে না। তবে চলতি মাসের শুরুতেই দ্বিতীয় ইউনিট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে আদানি। ফলে কেন্দ্রটি থেকে এক হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ আমদানি করেছে বাংলাদেশ। টানা ১৪ দিন ধরে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্ভরযোগ্যতা পরীক্ষা করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এরপর পিডিবির প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে ৭২ ঘণ্টা পুরোপুরি চালু রেখে নির্ভরযোগ্যতা দেখা হয়।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। সঞ্চালন লাইন প্রস্তুত করে পুরো সক্ষমতায় বিদ্যুৎ আনতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। ঈদের ছুটির সময় এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে সঞ্চালন লাইনটি প্রস্তুত করা হবে।
পিজিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। পুরো সক্ষমতায় এ কেন্দ্র থেকে ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সঞ্চালন লাইন তৈরি হলেও উপকেন্দ্রের কাজ শেষ হতে দেরি হয়ে যায়। এ কাজটি করছে পিজিসিবি। ২০১৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে ২৫ বছর বিদ্যুৎ কিনবে পিডিবি।