নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নে জারিলা গ্রামে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মেজার উদ্দিন (২১) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
গত (২২ জুন ২০২৩) রাতে বাড়িতে জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় ওই নারী বাদি হয়ে গত ২৬ জুন সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলো, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের জারিলা গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে মেরাজ উদ্দিন, মো. মোকেচ্ছেদ মন্ডলের ছেলে কামাল উদ্দিন, বাবু মন্ডল ও টুটুল মন্ডল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তোভুগী নারীর কামারখন্দ উপজেলার তাজুরপাড়া গ্রামের ছাইফুল ইসলামের সঙ্গে বিবাব হয়। বিবাহের পর তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় ২০২২ সালের ৮ অক্টোবর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তালাক হয়। তার পর থেকে ভুক্তভোগী নারী নিজের পিতার বাড়িতে অবস্থান করা বস্থায় লেখাপড়া করিতে থাকে। কলেজে যাওয়া আসার সময় মেরাজ উদ্দিন বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২২ জুন রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মেরাজ উদ্দিন রাত ১২টা দিকে সুকৌশলে ওই নারীর ঘরে ঢুকে জোড়পুর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই নারীর আত্মচিৎকারে আশপাশের হিমেল শেখ, রাকিব হোসেনসহ কয়েজন এসে মেরাজকে আটক করে। পরে স্থানীয় মুরুব্বদের নিয়ে মেজারের বাবা এসে বিবাহের আশ্বাস দিয়ে মেরাজকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
পরেদিন ২৩ জুন স্থানীয়দের সালিসী বৈঠকের সময় বিয়ের কথা স্বীকার করে ২৪ জুন বিকেলে ৫ লক্ষ টাকা কাবিন মুল্যে সালিসী বৈঠক শেষ হয়। পরে ২৪ জুন বিয়ের কথা বললে মিরাজের পরিবার বিয়ে কথা অস্বীকার করে নানা তাল-বাহানা শুরু করে।
এমতাবস্থায় কোন উপায় না পেয়ে মেরাজ ও তার বাবা সহ ৪জনকে আসামী করে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সিরাজগঞ্জ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালতে মামলা দায়ের করে।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানার ওসিকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) দুপুরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, আদালতের তদন্তের কোন কপি এখনো পায়নি। পেলে দ্রুত প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।