সুদানের চলমান সঙ্কটে আটকে পড়া আরো কমবেশি ১৫০ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কাজ করছে সরকার। এর আগে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর সহযোগিতায় সুদানে চলামান সংকটে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে গত মে মাসে কমবেশি ৮০০ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম জানান, ওই সময়ে অনেকেই সুদান থেকে দেশের ফেরার জন্য নিবন্ধন করেননি। এক পর্যায়ে সুদান থেকে দেশে ফেরার ক্যাম্প বন্ধ হয়ে গেলে এবং খার্তুমের পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় অনেক বাংলাদেশির দেশে ফেরার আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার তাদেরকে দেশে ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা উদ্ধার অভিযান শুরু করার সময়ই কয়েক দফা তারিখ পরিবর্তন করে একমাসের বেশি সময় আগে নতুন কেউ আগ্রহী না থাকার কারনে তা বন্ধ ঘোষণা করি। কিন্তু আমাদের উদ্ধার ক্যাম্প বন্ধ করার পর পোর্ট সুদানে অনেক বাংলাদেশি জড়ো হতে শুরু করে। খার্তুমের পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় কয়েক দিনের মধ্যে সংখ্যাটি ১০০ ছাড়িয়েছে। তাদের থাকার উপযুক্ত জায়গা না থাকায় তারা অনেক কষ্টের মুখোমুখি হয়েছেন। খোলা আকাশের নিচে লোহিত সাগরের তীরে তাদের রাত কাটে। আমরা তাদের ব্যবহারের জন্য শুধুমাত্র ফ্লোর ম্যাট এবং কিছু জলের ট্যাঙ্ক সরবরাহ করতে পেরেছিলাম গত কয়েকদিনে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেছি। আমাদের কনসুলেট মন্ত্রণালয়কে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেন এবং আমরা তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুমোদন দেই। এখন জেদ্দার কোনো ফ্লাইট না থাকায় বদর এয়ারলাইনসে দোহা যাওয়ার নতুন রুট খুলেছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা আবার উদ্ধার ক্যাম্প খুলে রেজিস্ট্রেশন শুরু করেছি। গত পরশু পর্যন্ত ১০৪ জন নাগরিক তাদের ফিরে যাওয়ার অভিপ্রায় নিবন্ধন করেছেন। আমরা নিবন্ধনের শেষ তারিখ হিসাবে ২৭ জুন ঘোষণা করেছি। আমরা আশা করছি যে ১৫০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নিবন্ধন করবেন। ৮০ জন যাত্রী ৩০ জুন দোহায় প্রথম ফ্লাইট নেবেন এবং তারা বিমান বাংলাদেশের সামনের ফ্লাইটে উঠবেন ০১ জুলাই, আরও ৮০ জন যাত্রী একই রুটে যাবেন। যদি আমাদের ১৬০ জনের বেশি যাত্রী থাকে, তারা ০২ জুলাই ফ্লাইট নেবেন। আশাকরি এই পরিবারগুলোর জন্য ঈদের আগে এই সংবাদ কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।