সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
প্রধান উপদেষ্টা নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট, ওএসডি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ হয় না, হবেও না… নওগাঁয় পৈত্রিক সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে স্বাক্ষর জাল, দুদকে অভিযোগ সারিয়াকান্দিতে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে গ্রীস্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার শুরু   কাজিপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অবহিত করণ ও বাস্তবায়ন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত  কাজিপুরে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে গুণী শিক্ষকদের সন্মাননা প্রদান খানসামায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন চারঘাটে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত সিরাজগঞ্জে তিন হত্যা মামলার আসামি মুছা কক্সবাজারে র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য মজুদ করলে যাবজ্জীবন জেল

রিপোর্টারের নাম / ১০৯ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে

নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি খাদ্যদ্রব্য কেউ মজুদ করলে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এই অপরাধের শাস্তি যাবজ্জীবন বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) বিল-২০২৩’ পাস করা হয়েছে। আইনটি কার্যকর হলে পলিশিং ও কাটিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করা মিনিকেট চাল বিক্রি ও সরবরাহ আইনগতভাবে অবৈধ হবে।

গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিরোধী দলের সদস্যদের আনা জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করেন স্পিকার। প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মো. ফখরুল ইমাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, পীর ফজলুর রহমান ও রওশন আরা মান্নান, গণফোরামের মোকাব্বির খান এবং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু।

আলোচনায় অংশ নিয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ আইনটি ভয়াবহ সংকট তৈরি করবে উল্লেখ করে বলেন, আইনটি কার্যকর হলে ঘুষের বাণিজ্য বাড়বে।

কেউ বাড়িতে নিজের উৎপাদিত ধান রাখলেও তাকে শাস্তি পেতে হবে। আবার পরিকল্পিতভাবেও অন্যকে ফাঁসানোর সুযোগ সৃষ্টি হবে। তিনি আরো বলেন, কোথাও যদি খাদ্য মজুদ না করা যায়, তাহলে কৃষক উৎপাদিত পণ্য কোথায় বিক্রি করবেন? তাঁরা উৎপাদনে নিরুৎসাহ হবেন। ফলে খাদ্যসংকট তৈরি হবে।

দ্রব্যমূল্য আরো বাড়বে। আবার মিনিকেট, কাটারিভোগসহ অন্যান্য চাল নিষিদ্ধ করলে মিল মালিক ও ব্যবসায়ীরা চালের ব্রালিং বন্ধ করতে বাধ্য হবেন। এতে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আমদানিকে উৎসাহিত করতে এই বিল আনা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। আইন পাসের আগে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান গণফোরামের মোকাব্বির খান।

জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনটি পাসের প্রস্তাব করা হয়েছে। আইনটি কার্যকর হলে খাদ্যদ্রব্য মজুদের সুযোগ থাকবে না। বরং খাদ্য ও খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। ফলে সাধারণ মানুষ অনেক বেশি লাভবান হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir