নাটোরের সিংড়া উপজেলার ৬নং হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের ৭নং ওর্য়াড চকলাড়ুয়া গ্রামে আদালতের কোন নোটিশ না দিয়ে ৪ টি পরিবারের ১৪টি ঘড় ভেঙ্গে ফেলায় বিপাকে ঐসব পরিবারগুলো। অনেকটা খোলা আকাশে বসবাস করছে ঐ পরিবারগুলো। ৬০ বছর থেকে বসবাস করা ঐ পরিবারদের কোনো নোটিশ ছাড়া উচ্ছেদ অভিযান করা নিয়ে প্রশ্ন সকলের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির মালামাল এলোমেলো পড়ে আছে। এর মধ্যে রান্না করছে মহিলারা। সাংবাদিকদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ৮০ বছরের বৃদ্ধা। রাবেয়া বেওয়া বলেন, প্রায় ৯ বছর আগে আমার স্বামী আলহাজ্ব মৃত নুর মোহাম্মদ মারা যায়। আমরা ৭০ বছর আগে চকলাড়ুয়া গ্রামের মকিম সরদারের পুত্র মৃত নজিবরের কাছ থেকে আমরা জায়গা ক্রয় করি ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে বসবাস করছি। আমাদের খাজনা খারিজ সব করা আছে। অথচ রাতারাতি কি হলো বুজলাম না। যেখানে আমার স্বামী মারা গেছে, সেখানেই আমি মরবো, তবুও ভিটা ছাড়বো না।
জানা যায়, বুধবার সকাল ১১ টার সময় কোর্টের আদেশ আছে বলে আমিন দিয়ে জমি মাপা শুরু করে এরপর
এসে ৪ টি বাড়িতে আমিন দিয়ে জমি মাপার সাথে সাথে ঘরের আসবাবপত্র সরিয়ে নিতে বলে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার মোফাচ্ছেল হক, মজনু প্রামানিক, আ: রহিম মোল্লা, হারান আলী মোল্লা, খলিল সরদার জানান, কোর্ট থেকে নাজির এসে বলে যে আপনাদের বাড়ি কোট থেকে ভাঙ্গার অর্ডার আছে তাড়াতাড়ি মালামাল সরিয়ে ফেলুন অনেক অনুরোধ করার পরেও তারা বাড়ি ভাঙচুর শুরু করে।
ঐ পরিবারগুলো জানায়, আমাদের হাতে কোট থেকে কোন নোটিশ আসে নাই। কোর্টের আদেশ যদি হয়ে থাকে তাহলে আমরা নোটিশ পেলাম না কেন, আমাদের দলিল সম্পত্তি আমরা তো আর খাস জমিতে বসবাস করি না যে কোট কাকে নোটিশ দিলো আর নোটিশ টা কে রিসিভ করে আমাদের কেউ না জানিয়ে একতরফা ডিগ্রী নিল আমরা এই চার পরিবার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মাননীয় আদালতের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।